শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, যত জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারবেন, গণতন্ত্র¿ তত প্রতিষ্ঠিত হবে। দেশে যত দুর্নীতি কমাতে পারবেন, গণতন্ত্র তত মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
গতকাল (রোববার) রাজধানীর বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে (পিআইবি) আয়োজিত ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে গণমাধ্যম পুরস্কার-২০১৬’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পিআইবি ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র উত্তরণের পূর্বে অনেক বাধার মধ্যে অন্যতম বাধা হলো দুর্নীতি ও দলবাজি। দেশ স্বাধীনের পর বহু সামরিক স্বৈরশাসনের ক্ষতচিহ্ন লেগে আছে আমাদের দেশে। তাই এসব চিহ্ন মুছে ফেলে আমরা এখন গণতন্ত্র উত্তরণের পথে। এ পথকে আরো বেগবান করতে প্রথমেই দুর্নীতিকে মুছে ফেলতে হবে।
হাসানুল হক ইনু বলেন, প্রথমে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করা দরকার। এই প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের প্রধান একটি কাজ হচ্ছে শক্তিশালী গণমাধ্যমের প্রসার ও বিকাশ। গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের এই অগ্রযাত্রায় যত জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারবেন তত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
হাসানুল হক ইনু বলেন, গণমাধ্যমের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বস্তুনিষ্ঠতা থাকতে হবে। বস্তুনিষ্ঠতার উপর নির্ভর করে দেশ থেকে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা যাবে। গণমাধ্যম যত বস্তুনিষ্ঠ ও ন্যায়পরায়ণ হবে মানুষের কাছে তত তার গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। আর অবশ্যই কারো চরিত্র হনন করবেন না এবং পক্ষবিপক্ষ নিয়ে নিউজ করবেন না। শুধু দুর্নীতির বিরুদ্ধে লিখুন সরকার আপনার পাশে আছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান তথ্য কমিশনার ড. গোলাম রহমান বলেন, আমাদের দেশে এখন মোট ২ হাজার ৮০০টি গণমাধ্যমের প্রতিষ্ঠান আছে। যার মধ্যে ২৮টি টেলিভিশন ও ১৬টি রেডিও আছে। এর দ্বারা বুঝা যায় গণমাধ্যমের বিস্তৃতি ঘটেছে। কিন্তু যে অনুসারে বিস্তৃৃতি ঘটেছে সে অনুসারে কর্মসংস্থান ঘটেনি। অনেক প্রতিষ্ঠানেই দক্ষ কোনো সাংবাদিক নেই।
গোলাম রহমান আরও বলেন, সব সরকারি অফিসে গণতথ্যগুলো আপনি পেতে পারবেন। বর্তমান যে তথ্য আইন হয়েছে, এর মাধ্যমে আপনার তথ্যে চাহিদা অনেকাংশেই পূরণ হবে। কিন্তু এসব তথ্য দ্বারা কাউকে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে দুর্নীতি করবেন না। অনেক সাংবাদিককে দেখেছি যারা তথ্য নিয়ে দুর্নীতি মাধ্যমে হাত বদল করে, ধারাবাহিক নিউজের ক্ষেত্রে এক পর্ব ছাপানোর পর আর বের হয় না।
দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল বলেন, দুর্নীতি কারণে আমরা এখনো অনেক পিছিয়ে। বিশ্বব্যাংকের এক তথ্য অনুযায়ীÑবাংলাদেশ যদি দুর্নীতি লাগাম টেনে ধরতে পারত তাহলে জিডিপিতে আজ আরো দুই ধাপ এগিয়ে যেত। দুদক প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ১ হাজার বা ২ হাজার জনবল নিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দুর্নীতি দমন করা সম্ভব না। দুর্নীতি দমনে চাই জনসচেতনতা ও সম্পৃক্ততা। এক্ষেত্রে মিডিয়ার ভূমিকা অপরিসীম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগের চেয়ারম্যান মো. মফিজুর রহমানের সভাপত্বিতে আরো বক্তব্য দেন তথ্য সচিব মরতুজা আহমেদ, জার্মান হাইকমিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ফার্ডিনান্ড ফন ভাইয়ো, দুদকের মহাপরিচালক ড. শামসুল আরেফিন এবং পিআইবির মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীর। অনুষ্ঠানে দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রতিবেদন করার জন্য পাঁচ সাংবাদিককে পুরস্কৃত করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন