বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

পুরুষ পুলিশ কর্মকর্তার হেফাজতে যুবতী, আদালত চিন্তা করল না!

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৯, ১২:০০ এএম

বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী ও প্রধান সাক্ষী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির রিমান্ডের সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট বারের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, একজন মহিলাকে, যুবতী মেয়েকে একজন পুরুষ পুলিশ কর্মকর্তার হেফাজতে দেয়া হলো। একবারও আদালত চিন্তা করল না, তার ওপরে কী ধরনের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন হতে পারে! এ ক্ষেত্রে হাইকোর্টের নির্দেশনাও মানা হয়নি। গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্ট বারের সামনে খন্দকার মাহবুব সাংবাদিকদের সামনে এ বিষয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, রাজনৈতিক প্রভাবে আমাদের নিম্নআদালতগুলো বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এমনকি সুপ্রিম কোর্টের আদেশও তারা অমান্য করছে। আপনারা জানেন, বরগুনায় আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। রিমান্ডের পরে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও নেয়া হয়েছে। কতটা সত্যি, কতটা মিথ্যা, সেটা বিচারে দেখা যাবে। আমাদের কথা হলো, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা রয়েছেÑ যদি কাউকে রিমান্ডে নিয়ে স্বীকারোক্তি নেয়া হয়, তাকে অবশ্যই বিচারিক আদালতে উপস্থিত করতে হবে। যার ফলে সে বলতে পারে, রিমান্ডে থাকাকালীন তাকে নির্যাতন করা হয়েছে কি না। নির্যাতন যদি করা হয়ে থাকে, ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। ফৌজদারি আইন সম্পর্কে অভিজ্ঞ এই প্রবীণ আইনজীবী বলেন, কথিত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পরে তাকে আদালতে না নিয়ে সরাসরি জেলখানায় পাঠিয়ে দেয়া হলো। তার আইনজীবী আবেদন করলেন, আমরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছি, সেটা প্রত্যাহার করতে চাই। আপনি তাকে আদালতে আনেন। কিন্তু তাকে আনা হলো না। এভাবে আইনের বরখেলাপ হচ্ছে।

মিন্নিকে জামিন না দেয়ার সমালোচনা করে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আমাদের ফৌজদারি কার্যবিধিতে রয়েছে, আসামি যদি মহিলা হয়, অসুস্থ হয়, তাহলে আদালত তাকে জামিন দেবেন। আইনের সম্পূর্ণ বরখেলাপ করে রাজনৈতিক প্রভাবে অথবা একটা বিশেষ উদ্দেশ্যে, মামলার মূল আসামিরা যাতে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে, সে কারণে তাকে জামিন দেয়া হলো না। এটাও আইনের বরখেলাপ। আমি আশা করব, আমাদের উচ্চ আদালত এ ব্যাপারে নজর দেবেন, যেহেতু নিম্ন আদালতগুলো সুপ্রিম কোর্টের আওতাধীন। সেই কারণে সুপ্রিম কোর্ট এর যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। সুপ্রিম কোর্টের কাছে লিখিত আবেদন করে হস্তক্ষেপ চেয়েছেন কি না...এমন প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মাহবুব বলেন, আমি করিনি। আমি তো আইনজীবী। এটা কোর্টের দায়িত্ব। তাকে যদি জামিন না দেয়া হয়, তাহলে উচ্চ আদালতে যখন আসবে তখন আমরা এর প্রতিবাদ করব। আইনি সহায়তা দেবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (11)
MD Nasir ২৫ জুলাই, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
অবশ্যই আদালতের চিন্তা করা প্রয়োজন মহিলাদের মহিলা পুলিশের হেফাজতে রাখা উত্তম
Total Reply(0)
Khokon Akon ২৫ জুলাই, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
আমরা এখন মনে করি মিননি কে অনেকটা বেশি ফাশান হয়েছে আমরা মনে করি কিছুটা দোষ মিননি রং আছে এজন্য এভাবে তো চাপিয়ে দেয়া যায় না
Total Reply(0)
Jasim Uddin ২৫ জুলাই, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 2
এখানে বিজ্ঞ আদালত যা ভাল মনে করেছেন তাই আদেশ দিয়েছেন। এখানে লিঙ্গ বৈষম্যমূলক কথাবার্তা বলা ঠিক না।
Total Reply(1)
Yourchoice51 ২৫ জুলাই, ২০১৯, ৯:১৩ এএম says : 4
Will you leave your sister in the custody of a unrelated male?
Nasir Uddin ২৫ জুলাই, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 2
বিজ্ঞ আদালত যার যেটা প্রয়োজন সেটা ভেবেই সেখানে পুরুষ পুলিশ দিয়েছে। এটা নিয়ে এত ঘামানোর কোন প্রয়োজন নাই।
Total Reply(0)
Jalal Uddin Sarder ২৫ জুলাই, ২০১৯, ১:৪১ এএম says : 0
এটা বাংলাদেশ এখানে পুলিশ যখন খুশি যাহা করবে সেইটাই আইন।
Total Reply(0)
Monir Hossain ২৫ জুলাই, ২০১৯, ১:৪১ এএম says : 0
বিবেক বিহীন মানুষ আর বুদ্ধি হারিয়ে যাচ্ছ আদালতের
Total Reply(0)
Raihanul Islam ২৫ জুলাই, ২০১৯, ১:৪১ এএম says : 0
এই দেশে আইন আদালত বলতে কিছু আছে নাকি??
Total Reply(0)
Sharmin Sultana ২৫ জুলাই, ২০১৯, ১:৪২ এএম says : 0
আমাদের দেশে কি হতে চলছে
Total Reply(0)
Sampa Aktar ২৫ জুলাই, ২০১৯, ১:৪২ এএম says : 0
কেন মহিলা পুলিশ নেই।
Total Reply(0)
Miah Muhammad Adel ২৫ জুলাই, ২০১৯, ৬:১২ এএম says : 0
Too bad!
Total Reply(0)
মো:মুনীরুল ইসলাম রাফি ২৫ জুলাই, ২০১৯, ১১:০৫ এএম says : 0
এই দেশে সব কিছুই সম্ভব।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন