কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোছা. সাবেকুন্নাহারের বিরুদ্ধে সরকারি ধান কেনায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে তিনি টন প্রতি তিন হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়ে ধান কিনে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। প্রতিবাদে গতকাল সকালে ভুক্তভোগী কৃষকরা বিক্ষোভ মিছিল করে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেয়।
গত ১০ জুলাই থেকে দ্বিতীয় দফায় ধান কেনা কার্যক্রম শুরু হয়। কৃষকদের কাছ থেকে চিটামুক্ত, উজ্জল সোনালী রংয়ের ১৪ শতাংশ আর্দ্র ধান সংগ্রহ করে সংরক্ষণের নিয়ম থাকলেও খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার ব্যক্তিস্বার্থে তা মানা হচ্ছে না। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নি¤œমানের ধান কেনা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন খাদ্য গুদামে কৃষক যাতে নির্বিঘেœ সরাসরি ধান বিক্রি করতে পারেন সে বিষয়ে নির্দেশনা দিলেও গুদাম কর্মকতা সাবেকুন্নাহার তা মানছেন না।
আন্দোলনকারী কৃষক নেতা দুলাল মিয়া বলেন, গুদাম কর্মকর্তা সাবেকুন্নাহারের স্বামী মুনির মিয়া বিভিন্ন এলাকা থেকে ধান কিনে ট্রাক ভর্তি করে রাতের আধারে গুদামে ধান ঢুকাচ্ছেন। গুদামটি এখন স্বামী-স্ত্রীর ব্যবসা কেন্দ্র হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) সাবেকুন্নাহারের কাছে জানতে চাইলে তিনি তার ওপর আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহিদ হাসান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন