দেশের ‘ছেলেধরা’ আতঙ্ককে একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠীর অপকৌশল হিসেবে আখ্যায়িত করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেছেন, গুজব রটানোর অপরাধে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন। তারা রাজনীতিতে ব্যর্থ হয়ে অপকৌশল করে গুজব রটিয়ে দিয়েছেন। আপনারা যারা সচেতন আছেন তারা এ মানুষগুলোর কাছ থেকে বিরত থাকবেন এবং আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না।
গতকাল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ ভাসানী) ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু করছে, তখন একটি মহল হতাশ। তারা রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়ে, জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে নানা ধরনের হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ও নানান অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। সেই অপকৌশলের অংশ হিসেবেই আপনারা দেখেছেন কিছুদিন আগে রটিয়ে দেওয়া হলো- সরকারের অনুমোদন নিয়ে নাকি পদ্মাসেতুতে শিশু বলে দিতে হবে! তাও একটা দুইটা নয়, এক লাখ শিশু বলি দিতে হবে। সেটির সূত্রধরেই দেশে ছেলেধরা গুজব তৈরি করা হলো। তার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু আতঙ্কিত মানুষ এবং কিছু দুষ্কৃতিকারী নিরীহ মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে। একজন নিরীহ মা-সহ বেশ কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছে। এগুলো সবই হত্যাকাÐ। যারা এগুলো করেছে তারা হত্যা মামলার আসামি। তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।

তথ্যমন্ত্রী বন্যাকবলিতদের সাহায্যের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান মোশতাক আহমেদ আলোচনার সভাপতিত্ব করেন।

গ্রেফতারকৃত