পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
গুজব ছড়ানো হচ্ছে ছেলেধরার মতোই : সাঈদ খোকন
বিষেশজ্ঞদের অভিমত সময়মতো ব্যবস্থা নিলে এমন অবস্থা হতো না
ঘরে ঘরে ডেঙ্গু। রাজধানীবাসীর অন্যতম আলোচনার বিষয় এখন ডেঙ্গু। অনেক পরিবারে একাধিক সদস্য ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। রাস্তাঘাটে, বাসে, হোটেলে, মার্কেটে, স্কুল-কলেজে ডেঙ্গু নিয়ে আলোচনা। মানুষের অভিযোগ, সিটি করপোরেশন মশা নিধনে বা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের ব্যর্থতায় ডেঙ্গুর প্রকোপ এ বছর উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। মশার অকার্যকর ওষুধ ব্যবহার নিয়েও মানুষের মধ্যে ক্ষোভ আছে। তবে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডেঙ্গুর ধরন বদলে যাওয়া। চিকিৎসকরা বলছেন, এবার স্টেজ-৩ ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি। স্টেজ-৩ ডেঙ্গুতে মৃত্যুঝুঁকিও বেশি থাকে। এতে রক্তের প্লাটিলেট হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি রোগীর রক্তচাপও দ্রæত কমে যায়। আর ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বা বাজে অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গতকাল এক অনুষ্ঠানে বলেন, ডেঙ্গুর যন্ত্রণা কি আমি বুঝি। আল্লাহ যেন কারো ডেঙ্গু না দেয় বলে সবার জন্য দোয়া করেন।
এদিকে রাজধানীর কোন এলাকায় কী ধরনের মশার উপস্থিতি, তা জানতে ২০১৫-১৬ সালে নর্থ সাউথ ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা পরিচালনা করে। গবেষকরা ঢাকার ছয়টি উদ্যানের বছরব্যাপী নমুনা সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে ডেঙ্গুর প্রাইমারী বাহক এডিস ইজিপ্টি মশার উপস্থিতি পান কেবল বলধা গার্ডেনে। গবেষকরা জানান, ওই সময় উদ্যোগ নেয়া হলে সহজেই এডিস ইজিপ্টি মশার বিস্তার রোধ করা যেত। কিন্তু সিটি করপোরেশন তাতে ব্যর্থ হওয়ায় উল্টো এর বিস্তৃতি বেড়েছে। ঢাকার সব এলাকায়ই ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গুর এ বাহক।
এছাড়া অভিযোগ আছে, এ বছরও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে আগাম প্রস্তুতি ছিল না ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের। স্বাভাবিক কীটনাশক ছিটানো কার্যক্রমও অনেকটা বন্ধ ছিল। ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বাড়লে এবং রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তড়িঘড়ি পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্যোগ নেয় সিটি করপোরেশন। তাও কাজে আসেনি। ইতিমধ্যে মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন ও মেয়রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।
পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. মুজাহেরুল হক বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে সরকারের আন্তরিকতা থাকলেও যারা এটি বাস্তবায়ন করবে তাদের আন্তরিকতার ঘাটতি রয়েছে। মশা মারার নামে নিম্নমানের ওষুধ ব্যবহারে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ওষুধ ছিটানোর কাজটি যেন সঠিক সময়ে হয় সে বিষয়ে কাউন্সিলদের নির্দেশ দিয়ে তা মনিটরিং করবেন মেয়র। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পর নয়; এর আগেই মশা নিধনের কাজটি শুরু করতে হবে। মশা নিধন ছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব নয়।
ঢাকার সরকারি-বেসরকারি ৪৯টি হাসপাতালে গতকাল বৃহস্পতিবারও নতুন করে ৫৪৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। বুধবারে ভর্তি ছিল ৫৬০ জন। এদিকে এবার মন্ত্রী, এমপি, সচিব থেকে শুরু করে কেউই বাঁচতে পারেনি ডেঙ্গুর হাত থেকে। এমনকি ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরাও রেহাই পাচ্ছে না। ইতোমধ্যে হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন শাহাদাৎ হোসেন এবং নিগার নাহিদ নিপু নামে একজন মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গু রোগে। এদিকে সারাদেশে যখন ডেঙ্গু নিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতির উদ্ভব হলেও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি করেছেন। গতকাল রাজধানীতে পরিচ্ছন্নতা ও মশাবিরোধী সপ্তাহ উদ্বোধনের সময় এমন দাবি করেন। একই সঙ্গে গত কয়েকদিন থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মশা নিয়ন্ত্রণে যে ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে তা অকার্যকর। এ কারণেই এ বছর রোগী বাড়ছে। অথচ স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর দাবি, মশা নিয়ন্ত্রণে যে ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে তা কার্যকর। আমরা পরীক্ষার পর তা নিশ্চিত হয়েছি। অপরদিকে ডেঙ্গু নিয়ে ছেলেধরার মত গুজব ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, সাড়ে তিন লাখ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার যে তথ্য ছড়িয়েছে তা ছেলেধরা’র মতই গুজব এবং একই সূত্রে গাঁথা। এমন তথ্য সম্পূর্ণ কাল্পনিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, মশা নিয়ে রাজনীতি কাম্য নয়। সাঈদ খোকন বলেন, সরকার দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞ জনগণকে নিয়ে এই ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবেলা করবে। ডেঙ্গু রোগীদের পাশে ও সঙ্গে থেকে ডেঙ্গু মোকাবেলার মধ্য দিয়ে এর কঠিন জবাব দেয়ার জন্য সরকার সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর ছোট-বড় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় এখন যত রোগী ভর্তি, তার ৭০-৮০ শতাংশই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। এদের বড় অংশ আবার শিশু। স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকালও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই ভর্তি হয় ১১২ জন। এছাড়া শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৬৩, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৫৮, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৪২, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৩২, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ২৭, বারডেম হাসপাতালে ১০, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ১৮ ও পিলখানার বিজিবি হাসপাতালে ৭ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। আর ঢাকার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৬৬ জন ডেঙ্গু রোগী।
গত কয়েক বছরের তথ্যে দেখা যায়, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুতে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়। যে ভয়াবহতা সামনে অপেক্ষা করছে। সরকারি হিসাবে এবার জুলাইয়েই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ৭ হাজার ১১২ জনের বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে তিন লাখ ছাড়িয়ে গেছে। গত কয়েক বছরে ডেঙ্গুর প্রকোপ ও হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করে সরকারি দফতরটি বলছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত সব রোগী সরকারি নজরদারির মধ্যে নেই। চিকিৎসা নিতে আসা মাত্র ২ শতাংশ রোগী সরকারি নজরদারির মধ্যে পড়ে। ৯৮ শতাংশের কোনো তথ্য থাকে না। আবার আক্রান্তদের মধ্যে ৮৫ শতাংশই চিকিৎসা নেয় না। এই অনুমিত হিসাব তৈরিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে সহায়তা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের মতে, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুর ভরা মৌসুম। ওই সময়ে পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। রোগতত্ত¡বিদ ও আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) উপদেষ্টা প্রফেসর মাহমুদুর রহমান বলেন, এ ধরনের একটি অনুমিত সংখ্যা খুবই জরুরি। এতে সমস্যা অনুধাবনে সুবিধা হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়।
এদিকে রাজধানীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর তথ্য নিয়েও বিভ্রান্তি রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর যে তথ্য দিয়ে থাকে তাতে পুরো রাজধানীর সব বেসরকারি হাসপাতালের তথ্য সরকার নিতে পারছে না। ঢাকা শহরের কয়েকশ’ বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের তথ্য সরকার পায় না। এছাড়া চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারে আসা রোগীর তথ্য তাদের কাছে নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় বা ঢাকা মেডিক্যালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন বহু রোগী আসছে, এ রকম হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে আসা রোগীর হিসাবও ওই তথ্যে নেই। জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ওই সংকলন থেকে ২ শতাংশের কম আক্রান্তের তথ্য পাওয়া যায়। সরকারি সংকলন হিসেবে গত বছর ১০ হাজার ১৪৮ জন আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি ছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমিত হিসাবে গত বছর ৫ লাখ ৭ হাজার ৪০০ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল।
এদিকে ডেঙ্গুর জন্য দায়ী এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় নিয়ে ঢাকার দুই মেয়রকে পদত্যাগের আহŸান জানিয়েছে আসছে বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ আহŸান জানান বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীরা বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। ঘরে ঘরে মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। অথচ ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী এডিস মশা নিধনে ব্যর্থ দুই মেয়র। অন্যান্য কাজের সঙ্গে মশা মারাও তাদের কাজ। সেটা না পারলে তাদের উচিত ব্যর্থতার দায় নিয়ে দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া। এছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশন মনোযোগী নয় বলে সমাবেশে থেকে অভিযোগ করা হয়।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া এক শিশুর মা গুলশান আরা ঊর্মি কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, জ্বর আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হাসপাতালে নিয়েছিলাম, কিন্তু বাঁচাতে পারিনি। মশার ভয়ে আমি সারা বছর কখনো ঘরের জানালা খুলি না। আর কীভাবে সচেতন হব? মেয়রদের প্রতি অনুরোধ, আর কোনো মায়ের কোল যেন খালি না হয়, আপনারা সেটি নিশ্চিত করুন।
এদিকে গবেষণার পরও উদ্যোগের অভাবে এ মশা বিস্তার লাভ করলেও তা নিয়ন্ত্রণে স্বীকৃত অন্য সব পদ্ধতি গ্রহণেও ব্যর্থ হয়েছে সিটি করপোরেশন। এডিস মশা নিধনের কার্যকর পদ্ধতিগুলোর একটি গাপ্পি মাছ। ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় গাপ্পি মাছ দিয়ে মশা মারার কর্মসূচি রয়েছে। কম্বোডিয়া এ কর্মসূচির মাধ্যমে পানিতে মশার লার্ভার পরিমাণ কমিয়ে আনায় সাফল্যও পেয়েছে। যদিও সিটি করপোরেশন এ উদ্যোগ কার্যকর করতে পারেনি।
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের আরেকটি পদ্ধতি হলো ভালো মশা ছেড়ে দেয়া। অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে এ কর্মসূচি চালু আছে। অস্ট্রেলিয়া এ পদ্ধতিতে সাফল্যও পেয়েছে। ভালো মশা হিসেবে পরিচিত জিনোটাইপ মশা ছেড়ে দেয়া হলে সেগুলো এডিস স্ত্রী মশার সঙ্গে মিলিত হয়। কিন্তু ওই স্ত্রী মশা ডিম ছাড়লেও তা থেকে লার্ভা হয় না। ফলে এ প্রক্রিয়ায় ধীরে ধীরে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
যদিও সিটি করপোরেশনের সব পদক্ষেপ ব্যর্থ হওয়ায় এডিস নিয়ন্ত্রণে জিনোটাইপ মশা আমদানির পরিকল্পনাও করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডবিøউএইচও) প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার পর জিনোটাইপ মশা আমদানি, দেশে এর কার্যকারিতা ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংরক্ষিত বছরভিত্তিক পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় ২০০০ সালে। সে বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় মোট ৫ হাজার ৫৫১ জন। এর মধ্যে ৯৩ জনের মৃত্যু হয়। পরের বছর প্রকোপ কিছুটা কমে আসে। তবে ২০০২ সালে ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে ডেঙ্গু। বছরটিতে ৬ হাজার ২৩২ জন আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ৫৮ জন। ২০১৬ সালেও সারা দেশে ৬ হাজার ৬০ জন আক্রান্ত হয়। মারা যায় ১৪ জন। ২০১৭ সালে সারা দেশে ২ হাজার ৭৬৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়, মৃত্যু হয় ৮ জনের। ২০১৮ সালে ৯ হাজার ৭৯৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু হয় ২৪ জনের। সরকারি হিসাবে, চলতি বছর গতকাল পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৭ হাজার ১১২ জন। এর মধ্যে মারা গেছে আটজন। যদিও বেসরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ২৮।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন