শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ডেঙ্গুর রেকর্ড

সরকারি হিসাবে এ মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৭ হাজারের বেশি

হাসান সোহেল | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৯, ১২:২৮ এএম

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
গুজব ছড়ানো হচ্ছে ছেলেধরার মতোই : সাঈদ খোকন
বিষেশজ্ঞদের অভিমত সময়মতো ব্যবস্থা নিলে এমন অবস্থা হতো না


ঘরে ঘরে ডেঙ্গু। রাজধানীবাসীর অন্যতম আলোচনার বিষয় এখন ডেঙ্গু। অনেক পরিবারে একাধিক সদস্য ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। রাস্তাঘাটে, বাসে, হোটেলে, মার্কেটে, স্কুল-কলেজে ডেঙ্গু নিয়ে আলোচনা। মানুষের অভিযোগ, সিটি করপোরেশন মশা নিধনে বা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের ব্যর্থতায় ডেঙ্গুর প্রকোপ এ বছর উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। মশার অকার্যকর ওষুধ ব্যবহার নিয়েও মানুষের মধ্যে ক্ষোভ আছে। তবে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডেঙ্গুর ধরন বদলে যাওয়া। চিকিৎসকরা বলছেন, এবার স্টেজ-৩ ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি। স্টেজ-৩ ডেঙ্গুতে মৃত্যুঝুঁকিও বেশি থাকে। এতে রক্তের প্লাটিলেট হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি রোগীর রক্তচাপও দ্রæত কমে যায়। আর ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বা বাজে অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গতকাল এক অনুষ্ঠানে বলেন, ডেঙ্গুর যন্ত্রণা কি আমি বুঝি। আল্লাহ যেন কারো ডেঙ্গু না দেয় বলে সবার জন্য দোয়া করেন।

এদিকে রাজধানীর কোন এলাকায় কী ধরনের মশার উপস্থিতি, তা জানতে ২০১৫-১৬ সালে নর্থ সাউথ ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা পরিচালনা করে। গবেষকরা ঢাকার ছয়টি উদ্যানের বছরব্যাপী নমুনা সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে ডেঙ্গুর প্রাইমারী বাহক এডিস ইজিপ্টি মশার উপস্থিতি পান কেবল বলধা গার্ডেনে। গবেষকরা জানান, ওই সময় উদ্যোগ নেয়া হলে সহজেই এডিস ইজিপ্টি মশার বিস্তার রোধ করা যেত। কিন্তু সিটি করপোরেশন তাতে ব্যর্থ হওয়ায় উল্টো এর বিস্তৃতি বেড়েছে। ঢাকার সব এলাকায়ই ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গুর এ বাহক।

এছাড়া অভিযোগ আছে, এ বছরও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে আগাম প্রস্তুতি ছিল না ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের। স্বাভাবিক কীটনাশক ছিটানো কার্যক্রমও অনেকটা বন্ধ ছিল। ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বাড়লে এবং রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তড়িঘড়ি পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্যোগ নেয় সিটি করপোরেশন। তাও কাজে আসেনি। ইতিমধ্যে মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন ও মেয়রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।

পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. মুজাহেরুল হক বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে সরকারের আন্তরিকতা থাকলেও যারা এটি বাস্তবায়ন করবে তাদের আন্তরিকতার ঘাটতি রয়েছে। মশা মারার নামে নিম্নমানের ওষুধ ব্যবহারে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ওষুধ ছিটানোর কাজটি যেন সঠিক সময়ে হয় সে বিষয়ে কাউন্সিলদের নির্দেশ দিয়ে তা মনিটরিং করবেন মেয়র। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পর নয়; এর আগেই মশা নিধনের কাজটি শুরু করতে হবে। মশা নিধন ছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব নয়।

ঢাকার সরকারি-বেসরকারি ৪৯টি হাসপাতালে গতকাল বৃহস্পতিবারও নতুন করে ৫৪৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। বুধবারে ভর্তি ছিল ৫৬০ জন। এদিকে এবার মন্ত্রী, এমপি, সচিব থেকে শুরু করে কেউই বাঁচতে পারেনি ডেঙ্গুর হাত থেকে। এমনকি ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরাও রেহাই পাচ্ছে না। ইতোমধ্যে হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন শাহাদাৎ হোসেন এবং নিগার নাহিদ নিপু নামে একজন মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গু রোগে। এদিকে সারাদেশে যখন ডেঙ্গু নিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতির উদ্ভব হলেও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি করেছেন। গতকাল রাজধানীতে পরিচ্ছন্নতা ও মশাবিরোধী সপ্তাহ উদ্বোধনের সময় এমন দাবি করেন। একই সঙ্গে গত কয়েকদিন থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মশা নিয়ন্ত্রণে যে ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে তা অকার্যকর। এ কারণেই এ বছর রোগী বাড়ছে। অথচ স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর দাবি, মশা নিয়ন্ত্রণে যে ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে তা কার্যকর। আমরা পরীক্ষার পর তা নিশ্চিত হয়েছি। অপরদিকে ডেঙ্গু নিয়ে ছেলেধরার মত গুজব ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, সাড়ে তিন লাখ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার যে তথ্য ছড়িয়েছে তা ছেলেধরা’র মতই গুজব এবং একই সূত্রে গাঁথা। এমন তথ্য সম্পূর্ণ কাল্পনিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, মশা নিয়ে রাজনীতি কাম্য নয়। সাঈদ খোকন বলেন, সরকার দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞ জনগণকে নিয়ে এই ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবেলা করবে। ডেঙ্গু রোগীদের পাশে ও সঙ্গে থেকে ডেঙ্গু মোকাবেলার মধ্য দিয়ে এর কঠিন জবাব দেয়ার জন্য সরকার সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর ছোট-বড় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় এখন যত রোগী ভর্তি, তার ৭০-৮০ শতাংশই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। এদের বড় অংশ আবার শিশু। স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকালও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই ভর্তি হয় ১১২ জন। এছাড়া শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৬৩, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৫৮, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৪২, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৩২, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ২৭, বারডেম হাসপাতালে ১০, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ১৮ ও পিলখানার বিজিবি হাসপাতালে ৭ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। আর ঢাকার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৬৬ জন ডেঙ্গু রোগী।

গত কয়েক বছরের তথ্যে দেখা যায়, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুতে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়। যে ভয়াবহতা সামনে অপেক্ষা করছে। সরকারি হিসাবে এবার জুলাইয়েই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ৭ হাজার ১১২ জনের বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে তিন লাখ ছাড়িয়ে গেছে। গত কয়েক বছরে ডেঙ্গুর প্রকোপ ও হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করে সরকারি দফতরটি বলছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত সব রোগী সরকারি নজরদারির মধ্যে নেই। চিকিৎসা নিতে আসা মাত্র ২ শতাংশ রোগী সরকারি নজরদারির মধ্যে পড়ে। ৯৮ শতাংশের কোনো তথ্য থাকে না। আবার আক্রান্তদের মধ্যে ৮৫ শতাংশই চিকিৎসা নেয় না। এই অনুমিত হিসাব তৈরিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে সহায়তা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের মতে, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুর ভরা মৌসুম। ওই সময়ে পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। রোগতত্ত¡বিদ ও আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) উপদেষ্টা প্রফেসর মাহমুদুর রহমান বলেন, এ ধরনের একটি অনুমিত সংখ্যা খুবই জরুরি। এতে সমস্যা অনুধাবনে সুবিধা হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়।

এদিকে রাজধানীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর তথ্য নিয়েও বিভ্রান্তি রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর যে তথ্য দিয়ে থাকে তাতে পুরো রাজধানীর সব বেসরকারি হাসপাতালের তথ্য সরকার নিতে পারছে না। ঢাকা শহরের কয়েকশ’ বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের তথ্য সরকার পায় না। এছাড়া চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারে আসা রোগীর তথ্য তাদের কাছে নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় বা ঢাকা মেডিক্যালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন বহু রোগী আসছে, এ রকম হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে আসা রোগীর হিসাবও ওই তথ্যে নেই। জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ওই সংকলন থেকে ২ শতাংশের কম আক্রান্তের তথ্য পাওয়া যায়। সরকারি সংকলন হিসেবে গত বছর ১০ হাজার ১৪৮ জন আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি ছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমিত হিসাবে গত বছর ৫ লাখ ৭ হাজার ৪০০ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল।

এদিকে ডেঙ্গুর জন্য দায়ী এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় নিয়ে ঢাকার দুই মেয়রকে পদত্যাগের আহŸান জানিয়েছে আসছে বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ আহŸান জানান বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীরা বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। ঘরে ঘরে মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। অথচ ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী এডিস মশা নিধনে ব্যর্থ দুই মেয়র। অন্যান্য কাজের সঙ্গে মশা মারাও তাদের কাজ। সেটা না পারলে তাদের উচিত ব্যর্থতার দায় নিয়ে দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া। এছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশন মনোযোগী নয় বলে সমাবেশে থেকে অভিযোগ করা হয়।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া এক শিশুর মা গুলশান আরা ঊর্মি কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, জ্বর আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হাসপাতালে নিয়েছিলাম, কিন্তু বাঁচাতে পারিনি। মশার ভয়ে আমি সারা বছর কখনো ঘরের জানালা খুলি না। আর কীভাবে সচেতন হব? মেয়রদের প্রতি অনুরোধ, আর কোনো মায়ের কোল যেন খালি না হয়, আপনারা সেটি নিশ্চিত করুন।

এদিকে গবেষণার পরও উদ্যোগের অভাবে এ মশা বিস্তার লাভ করলেও তা নিয়ন্ত্রণে স্বীকৃত অন্য সব পদ্ধতি গ্রহণেও ব্যর্থ হয়েছে সিটি করপোরেশন। এডিস মশা নিধনের কার্যকর পদ্ধতিগুলোর একটি গাপ্পি মাছ। ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় গাপ্পি মাছ দিয়ে মশা মারার কর্মসূচি রয়েছে। কম্বোডিয়া এ কর্মসূচির মাধ্যমে পানিতে মশার লার্ভার পরিমাণ কমিয়ে আনায় সাফল্যও পেয়েছে। যদিও সিটি করপোরেশন এ উদ্যোগ কার্যকর করতে পারেনি।

এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের আরেকটি পদ্ধতি হলো ভালো মশা ছেড়ে দেয়া। অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে এ কর্মসূচি চালু আছে। অস্ট্রেলিয়া এ পদ্ধতিতে সাফল্যও পেয়েছে। ভালো মশা হিসেবে পরিচিত জিনোটাইপ মশা ছেড়ে দেয়া হলে সেগুলো এডিস স্ত্রী মশার সঙ্গে মিলিত হয়। কিন্তু ওই স্ত্রী মশা ডিম ছাড়লেও তা থেকে লার্ভা হয় না। ফলে এ প্রক্রিয়ায় ধীরে ধীরে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
যদিও সিটি করপোরেশনের সব পদক্ষেপ ব্যর্থ হওয়ায় এডিস নিয়ন্ত্রণে জিনোটাইপ মশা আমদানির পরিকল্পনাও করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডবিøউএইচও) প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার পর জিনোটাইপ মশা আমদানি, দেশে এর কার্যকারিতা ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংরক্ষিত বছরভিত্তিক পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় ২০০০ সালে। সে বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় মোট ৫ হাজার ৫৫১ জন। এর মধ্যে ৯৩ জনের মৃত্যু হয়। পরের বছর প্রকোপ কিছুটা কমে আসে। তবে ২০০২ সালে ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে ডেঙ্গু। বছরটিতে ৬ হাজার ২৩২ জন আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ৫৮ জন। ২০১৬ সালেও সারা দেশে ৬ হাজার ৬০ জন আক্রান্ত হয়। মারা যায় ১৪ জন। ২০১৭ সালে সারা দেশে ২ হাজার ৭৬৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়, মৃত্যু হয় ৮ জনের। ২০১৮ সালে ৯ হাজার ৭৯৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু হয় ২৪ জনের। সরকারি হিসাবে, চলতি বছর গতকাল পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৭ হাজার ১১২ জন। এর মধ্যে মারা গেছে আটজন। যদিও বেসরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ২৮।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
Rifat Hasan ২৬ জুলাই, ২০১৯, ৩:২৫ এএম says : 0
Today i have tried to admit my mother in hospital in Badda area but failed coz those are full. And our mayor is saying these are rumours.
Total Reply(0)
Protibadi Sultan ২৬ জুলাই, ২০১৯, ৩:২৬ এএম says : 0
নোমরুদ কে ধ্বংস করা হয়েছিল একটা মশা ধারায় না জানি আমাদের উপর কোন গজব নেমে আসছে সবাই আল্লাহর দরবারে বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করেন
Total Reply(0)
Masum Talukder ২৬ জুলাই, ২০১৯, ৩:২৬ এএম says : 0
দোয়া করি মহোদয়দের জন্য অাল্লাহ যেন ওনাদের ডেংগু থেকে হেফাজত করে,ডেংগু হলেতো হাসপাতালে জায়গা হবেনা অার জায়গা নাহলে.............
Total Reply(0)
Shah Redwan ২৬ জুলাই, ২০১৯, ৩:৩০ এএম says : 0
সব মিলিয়ে অনিরাপদ ও বসবাসের অযোগ্য হয়ে ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে বাংলাদেশ, আল্লাহর রহমত ছাড়া বাঁচার কোন উপায় নেই, আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুক আমিন,,,
Total Reply(0)
Md Iqbal Hossain ২৬ জুলাই, ২০১৯, ৩:৩১ এএম says : 0
সারা বাংলাদেশে মশার ওষুধ ছিটিয়ে দিলে ও মশা নিধন হবেনা কোটি কোটি টাকার ওষুধ ছিটিয়ে সল্প মেয়াদি কিছুটা লাঘব হবে কিন্তুু দীর্ঘ মেয়াদি হবেনা । তাই সরকার কে দীর্ঘ মেয়াদী প্রকল্প নিতে হবে পানি নিস্কাসনের জন্যে নতুন ড্রেনেজ নির্মান পুরোনো ড্রেনেজ সংস্কার এবং যারা বাড়ি বানাবেন তারা যেনো প্রত্যেক বাড়ির পানি নিস্কাসনের ড্রেনেজ ব্যবস্হা রাখেন এবং ওই ড্রেনেজ সংযোগ সরকারি ড্রেনেজের সাথে সংযোগ করা এবং বাধ্যতা মূলক করা । ময়লা আর্বজনা পরিস্কারে জনসচেতনা তৈরি করা । শুধু মশার ওষুধ ছিটিয়ে মশা নিধন কখন ও সম্ভব নয় মশার ওষুধ চিটানোর পর ওষুধের কার্যকারিতা হয়তো তিন চারদিন থাকে এরপর ওষুধের কার্যকারিতা থাকেনা । আমাদের মিডিয়া গুলো শুধু সমস্যাটাই তুলে ধরে তাদের ও জনসচনতা মূলক কিছু অনুষ্টান প্রচার করা সমস্যা সমাধানে বিকল্প কিছু পরামর্শ দাওয়া
Total Reply(0)
Hoshain Mohammad ২৬ জুলাই, ২০১৯, ৩:৩১ এএম says : 0
ঢাকার মেয়র বলছে ডেঙ্গু রোগীরা নাকি গুজবের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হতে এসেছেন আর এদিকে সরকার কোটি কোটি টাকার ডেঙ্গু মশার ওষুধ ব্যবহার করার জন্য বরাদ্দ করেছে এগুলোর মধ্যে দুর্নীতি করতে করতে শেষ পর্যন্ত মহামারী আকার ধারণ করেছে,
Total Reply(0)
Fuad Fuad ২৬ জুলাই, ২০১৯, ৩:৩২ এএম says : 0
এডিস মশা নিয়ন্ত্রনে ও ডেংগু প্রতিরোধে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ! সামগ্রিক ভাবে মশা নিয়ন্ত্রণে সরকার এতটা উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছে যার ফলশ্রুতিতে নিরীহ মানুষের মৃত্যু ঘটছে। মশার উপদ্রব ও মশা নিধনে সময়মত ও পরিকল্পনা মাফিক মানসম্মত ওষধ ক্রয় ও ছিটাতে সরকারের অবহেলা বহুলাংশে দায়ী। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ ও কর্মকর্তাদের দূর্নীতি ও সরকারি দায়িত্ব পালনে অবহেলা সবচেয়ে দায়ী। বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচার ও কঠোর শাস্তির জোর দাবী জানাই।
Total Reply(0)
Jahid Ome ২৬ জুলাই, ২০১৯, ৩:৩২ এএম says : 0
যদি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একজন মানুষ ও মৃত্যুবরণ করে তাহলে তাদের দায়ভার দুই সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র মহোদয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রীকে নিতে হবে।।কিভাবে এডিস মশা বিস্তার বন্ধ করা যায় তার কোন পদক্ষেপ নেননি।বহুবছর আগে প্রচার, পদক্ষেপ এর কথা শুনেছি।হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন মারা গেলেন।।এটা কি সহজে মেনে নেওয়া যায়।সরকার যদি জোড়ালো পদক্ষেপ নিতো,তাহলে আজ এডিস মশা জন্ম হত না।তাহলে উনার মৃত্যুর জন্য দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ পরোক্ষভাবে কেন হত্যার বিচারের আওতায় আসবে না।।জানার খুব ইচ্ছে ছিল।
Total Reply(0)
Hoshain Mohammad ২৬ জুলাই, ২০১৯, ৩:৩৩ এএম says : 0
সবকিছুই যদি গুজব হয় তাহলে এখন কেন হাসপাতালে জায়গা হচ্ছে না ডেঙ্গু রোগীদের জন্য,বাংলাদেশের মন্ত্রীদের লজ্জা থাকা উচিত তারা যদি সাধারন ডেঙ্গু মশা মারতে না পারে তাহলে তাদের পদত্যাগ করা উচিত। আসলে মূল কথা হলো বিনা ভোটে জয় লাভ করলে জনসাধারণের সেবা করবে কেমন করে, আল্লাহ আমাদের প্রতি রহম করুন আপনার এই নেয়ামত আমাদের থেকে সরিয়ে নেন।
Total Reply(0)
মাহামুদুল হাসান ২৬ জুলাই, ২০১৯, ৩:৩৩ এএম says : 0
এটা সম্ভবত কোনো আন্তর্জাতিক চক্রের চক্রান্ত। বাংলাদেশে কখনোই এতো বেশি ডেঙ্গুর সমস্যা ছিলো না। তবে কেনো যেনো হুট করে এধরনের রোগ বেড়ে যাওয়া আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। যারা vaccine সরবরাহ করে তারা virus ও ছড়াতে পারে মশার মধ্যে। যার ফলে প্রভাবটা হয়তোবা হুট করে বেড়েগেছে। বর্তমান যুগে এমনটা হওয়া অসম্ভব কিছুও না।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন