শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

মশা নিধন তদারকিতে জিপিএস ট্র্যাকার ব্যবহার করা হবে -আতিকুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০১৯, ৩:৫৬ পিএম

ডেঙ্গু মোকাবেলায় জিপিএস ট্র্যাকার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় যারা মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন, তাদের মনিটরিংয়ের জন্য জিপিএস ট্র্যাকার ডিভাইস ব্যবহার করা হবে।

এ প্রযুক্তি ব্যবহারে মশার ওষুধ ছিটানোর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা ঠিকমতো কাজ করছে কিনা, তা নজরদারি করা যাবে। এতে কেউ ফাঁকি দিলে ট্র্যাকিং যন্ত্রে স্পষ্টতই ধরা পড়বে।

আজ সোমবার রাজধানীর গুলশান ক্লাবে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়সভায় এ কথা বলেন মেয়র আতিকুল। ডেঙ্গু মোকাবেলা ও পরিচ্ছন্ন নগরী বিনির্মাণে কী কী করণীয় মতবিনিময়সভায় তা আলোচনা করা হয়।

সভায় মেয়র আরও বলেন, দুটি কোম্পানির মাধ্যমে বিদেশ থেকে মশা মারার ওষুধ আমদানি করা হতো। এর মধ্যে একটিকে ব্ল্যাক লিস্ট করা হয়েছে। অন্যটি দিয়েও সময়োপযোগী কাজ করা যাচ্ছে না। তাই আইন করে সরাসরি সিটি কর্পোরেশন মশা নির্মূলের ওষুধ আমদানি করতে পারে। তবে এখনই অতিদ্রুত ওষুধ আমদানি করা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।

তবে বর্তমান ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি হলেও আতঙ্কিত না হয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য পর্যাপ্ত সচেতনতা বাড়াতে অনুরোধ জানান ঢাকা দক্ষিণের মেয়র।

চলতি বছরে প্রশ্ন উঠেছে- অনেক এলাকাতেই মশার ওষুধ ছিটানো কর্মীদের চোখে পড়ে না। সে বিষয় সমাধানে এরই মধ্যে ডিএনসিসির অঞ্চল-১ থেকে অঞ্চল-৫ পর্যন্ত সব এলাকার মশক নিধনকর্মী, মশক সুপারভাইজার ও মনিটরিং কর্মকর্তাদের নাম ও মোবাইল নম্বর ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে। তবু কাজ হয়নি তেমন। কর্মীদের এলাকায় দেখা মেলা এখনও দুষ্কর।

এবার সে সমস্যা সমাধানেই মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কর্মীদের জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন