এবছরের ডেঙ্গু রোগের লক্ষণের সাথে বিগত বছরের ডেঙ্গু রোগের কোন মিল নেই বলে জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগ।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন বিভাগটির সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক তাজউদ্দীন সিকদার।
এই সময় তিনি বলেন, ‘২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর এবছর সারাদেশে ডেঙ্গু মহামারী আকার ধারণ করেছে। এবছরের ডেঙ্গু রোগের লক্ষণের সাথে বিগত বছরের কোন মিল নেই। তাই অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এমন অবস্থায় আমরা সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রতিটি অনুষদে প্রিভেনশনাল সেল চালু করেছি। এছাড়া বিভাগের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু টেস্টের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।’
এই সময় তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গু কীট মারতে ফগিং ওষুধ ব্যাবহার করা হচ্ছে। কিন্তু তা দিয়ে ডেঙ্গু কীট মরছে না। তবে যেহেতু বিকল্প পদ্ধতি আমাদের কাছে নেই সে হিসেবে ফগিং দিতে হচ্ছে।
এদিকে এডিশ মশার বংশ বিস্তার ধ্বংস করতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গতকাল সোমবার থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১ হতে এ কর্মসূচি শুরু করেন প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. আমির হোসেন। এ অভিযানে প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ, বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষক, অফিসার, কর্মচারিগণ অংশগ্রহণ করেন। এই অভিযান কর্মসূচি উদ্বোধনকালে প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) বলেন, ক্যাম্পাস পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে আমরা শুধুমাত্র এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস নয়, ক্যাম্পাসকেও সুন্দর করতে পারি। তিনি ডেঙ্গু জ্বরে আতঙ্কিত না হয়ে এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার আহবান জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন