স্টাফ রিপোর্টার : আগামী ৪ আগস্ট বিমানের প্রথম হজ ফ্লাইট জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবে। ৫ আগস্ট সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের প্রথম হজ ফ্লাইট শুরু হবে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর বিমানের শেষ হজ ফ্লাইট জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবে। হজশেষে ফিরতি হজ ফ্লাইট ১৭ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ১৬ অক্টোবর। চলতি বছর হজ ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু, ফলপ্রসূ ও নির্বিঘœভাবে শেষ করতে সচিবালয়ে মঙ্গলবার এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সউদী আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম গোলাম ফারুক, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আব্দুল জলিল, সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান এহসানুল গণি চৌধুরী, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হার) সভাপতি ইব্রাহিম বাহার ও মহাসচিব শেখ আব্দুল্লাহ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ এম মোসাদ্দিক আহমেদ, সউদী এয়ারলাইন্সের নির্বাহী ওমর খাইয়াম, অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) মহাসচিব আসলাম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিমানমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন হজ পালন করতে পারবেন। এর বাইরে এখন পর্যন্ত আর কাউকে আওতায় আনার ব্যাপারটি আলোচনায় আসেনি। সউদী সরকারকে আরও কিছু বাড়তি হজযাত্রী অনুমোদন দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেটা যদি হয় তারা জুন মাসের মধ্যে আমাদের জানাবেন। এ হজযাত্রীদের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সউদী এয়ারলাইন্স ৫০ শতাংশ করে পরিবহন করবে।’
রাশেদ খান বলেন, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ইতোমধ্যে সউদী আরব যেতে ১১২টি ডেডিকেটেড (শুধু হজযাত্রী পরিবহন) ও ৩২টি সিডিউল ফ্লাইটে ৫২ হাজার ৬৪ জন হজযাত্রী পরিবহনের অনুমতি পেয়েছে। এছাড়া হজ শেষে ১০৫টি ডেডিকেটেড ফিরতি ফ্লাইট ও ২৯টি সিডিউল ফ্লাইটে হাজী পরিবহনের অনুমতি পেয়েছে।’ এবার সউদী সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী প্রত্যেকটি ফ্লাইটে তিনজন মোয়াল্লেমের অধীনে দেড়শ’ জন করে হজযাত্রী যাবেন বলেও জানান বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী। গত বছরের মতো এবারও আগেই জমজমের পানি দেশে নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়ে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘হজযাত্রীরা যখন ফেরত আসবেন তখন তাদের হাতে জমজমের পানি পৌঁছে দেয়া হবে, তাদের এ পানি বহন করে নিয়ে আসতে হবে না।’
বিমানে হাজিদের ৪৬ কেজির বেশি ওজনের লাগেজ বহন নয়। বিমানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি বিষয়ে আমরা এবার দৃঢ় থাকতে চাই। হাজিরা যে লাগেজ আনবেন এর ওজন হবে ৪৬ কেজি (সর্বোচ্চ)। তারা দুটি লাগেজ বহন করতে পারবেন। বলা হয়েছে, কোনো বাড়তি ওজনের লাগেজ এবার আমরা অ্যালাউ করব না, লাগেজের আকারও গুরুত্বপূর্ণ। তাই হজযাত্রীদের অনুরোধ করব তারা বাড়তি কোনো লাগেজ নিয়ে যাতে না আসেন।’ ‘দেখা গেছে আমাদের হাজিরা অতিরিক্ত ওজনের লাগেজ নিয়ে আসেন, পরিবার-পরিজনদের জন্য গিফট নিয়ে আসার চেষ্টা করেন। এর ফলে শেষ পর্যন্ত তারা লাগেজটি আনতে পারেন না, এয়ারপোর্টে পড়ে থাকে। লাগেজ নিয়ে প্রতিবারেই একটা ঝামেলা হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। মেনন বলেন, ‘সারা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের যে প্রকোপ রয়েছে তাতে বিমানপথে এর সম্ভাবনা বেশি থাকায় এখন চেক-ইন বেড়ে গেছে, আমাদের চেক-ইন করা ছাড়া কোনো পথ নেই। তাই লাগেজের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’ এবার সংক্ষিপ্ত হজ প্যাকেজ থাকছে না বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সউদী সরকারের শর্তানুযায়ী এটা করা হয়েছে।’ বিমানের কার্যক্রমের বিষয়ে হজযাত্রীদের অবহিত করতে একটি ভিডিওচিত্র তৈরি করা হচ্ছে জানিয়ে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘তথ্য ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এ ভিডিওটি তৈরি করছে। বৈঠকে ধর্ম সচিব আব্দুল জলিল হজযাত্রীদের সুবিধার্থে ঢাকা মদিনা-মদিনা ঢাকা বিমানের হজ ফ্লাইট চালুর প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন