শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে স্বাধীনতাকে মুছে দিতে চিয়েছিল

--------সালমান এফ রহমান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০০ এএম

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতাকে মুছে দিতে চিয়েছিল। আগষ্ট মাস শোকের মাস। ষড়যন্ত্রকারীরা জানত যে, বঙ্গবন্ধু পরিবারের একজনও বেঁচে থাকলে তার স্বপ্ন সোনারবাংলা বাস্তবায়ন করবে। তাই ছোট শিশু নিষ্পাপ রাসেলকেও তারা হত্যা করে। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে বঙ্গবন্ধু সুযোগ্য দুই কন্যা বিদেশে থাকায় তারা বেঁচে যান। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা তার স্বপ্ন সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর স্কাটনে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা) কার্যালয়ে আয়োজিত স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান একথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, বায়রার সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহানূর আলী, সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, মো.আবুল বাসার, মো.শাহজালাল মজুমদার।
আলোচনা সভায় সালমান এফ রহমান বলেন, অনেকেই দেশ স্বাধীন করা জন্য বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে। তার প্রশংসা করে। কিন্তু আমি বলব, বঙ্গবন্ধু যে বুঝতে পেরেছিলেন; চিন্তা করেছিলেন যে পাকিস্তানের সঙ্গে থাকলে আমরা অধিকার বঞ্চিত হবো। তারা আমাদের অধিকার দেবে না। তিনি যে এই চিন্তা করলেন এজন্য তাকে ক্রেডিট দেয়া দরকার।
তিনি এ বিষয়টি বুঝতে পেরেই স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। আর সেই ডাকে দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পাকিস্তানিরা অনেক আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলো বলেই ভাষা আন্দোলনের সময় বঙ্গবন্ধুকে জেলে রেখেছিলো। তারা জানত বঙ্গবন্ধু বাইরে থাকলে ওই সময়ই স্বাধীনতার ডাক দিতেন।
তিনি বলেন, বৃটিশদের কাছ থেকে পাকিস্তান হওয়া থেকে শুরু করে ৬৯ সাল পর্যন্ত এ অঞ্চলের মাত্র ৪ জনকে সচিব করে। তাদেরকেও বাধ্য হয়ে এ পদমর্যাদা দেয় পাকিস্তান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোন ব্যবসায়ী ছিলো ? কোহিনূর অথবা আদমজীর এজেন্সি হতে পারলেই অনেক কিছু ছিল। তখন নিজেদের আদমজী অথবা কোহিনূর হওয়ার মতো সুযোগ ছিলো না।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কি হলো? ষড়যন্ত্রকারীরা স্বাধীনতাকে সহ্য করতে পারল না। তারা বলেছিল বাংলাদেশ দিয়ে কিছুই হবে না। সেই থেকে বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু। এখনও চলছে। বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। এই অল্প সময়ে যেসব প্রকল্প গ্রহণ করেছেন, তা প্রধানমন্ত্রী কাজ করতে গিয়ে বুঝেছেন। প্রধানমন্ত্রী যা কিছু নতুন করতে যান, সেখানেই দেখেন বঙ্গবন্ধু ওই সময়েই পরিকল্পনা করে রেখেছেন।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, দেশ স্বাধীনের পর যখন প্রথম বেক্সিমকো গ্রুপ প্রতিষ্ঠা হয়, তখন বঙ্গবন্ধুর কাছে গিয়েছিলাম বেসরকারি খাতে রপ্তানি করার সুযোগ দেওয়ার জন্য। বঙ্গবন্ধু তখন শর্ত জুড়ে দিয়ে বললেন, ট্রাডিশনাল পণ্যের সঙ্গে নন-ট্রাডিশনাল পণ্যকেও রপ্তানি করতে হবে। তিনি যে রপ্তানির ঝুড়িকে প্রশস্ত করতে চেয়েছিলেন তা এখন বোঝা যায়। স্বাধীনতার এতো বছর পর আমরা এখন বলছি, এক গার্মেন্টসে ওপর ভর করে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ। রপ্তানির বাসকেটকে বাড়াতে হবে। নন-ট্রাডিশনাল পণ্য রপ্তানির দিকে ঝুঁকতে হবে। কারণ কখনও একটি পণ্যের ওপর দীর্ঘ সময় থাকা যায় না। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বায়রার সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নূর আলী বলেন, আমরা জানি প্রত্যেক পরিবারের একজন পিতা থাকেন। তেমনি একটি জাতিরও একজন পিতা থাকেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাঙালীর (আমাদের) জাতির পিতা হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন