শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জঙ্গি দমনের নামে গ্রেফতার বাণিজ্য ও বিএনপি নিধন চলছে : রিজভী

প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : জঙ্গি দমনের নামে সারাদেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার করা হচ্ছে; আর ঈদের বকশিশ হিসেবে সরকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার বাণিজ্যের এ সুযোগ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল (শনিবার) দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।
এসময় রুহুল কবির রিজভী বলেন, সাধারণ মানুষ ও বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বড় অঙ্কের টাকা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। অবৈধ ভোটারবিহীন পুলিশনির্ভর সরকার ঈদের আগে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বকশিশ হিসেবে গ্রেফতার বাণিজ্যের সুযোগ করে দিয়েছে।
রিজভী বলেন, গণতন্ত্র ফিরে আসলে দেশ থেকে ধীরে ধীরে সকল অশুভ শক্তি মুছে যাবে এবং শুভ শক্তির উদয় হবে। একটি রাষ্ট্রে গণতন্ত্র ও মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা না থাকলে সেখানে নানা ধরনের অনাচার ও অপশক্তির জন্ম নেয়। দেশের এই বিপন্নতা কাটিয়ে উঠতে অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচনের বিকল্প নেই।
সরকার জঙ্গি দমনে আন্তরিক নয় এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে জঙ্গি দমনে সরকার আন্তরিক নয়। তারা জঙ্গিবাদকে লালন করতে চায় বলেই জঙ্গি দমনের নামে বিরোধী দলের কর্মী নিধনে নেমেছে। সাঁড়াশি অভিযানে ১২ শতাধিক মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে উচ্চ আদালত কর্তৃক ৫৪ ধারাবিষয়ক নির্দেশনা উপেক্ষা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ জঙ্গি রাষ্ট্র হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক। দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য নানা ধরনের প্রচেষ্টারই অংশ এটি। এর জন্য দায়ী সরকার।
রিজভী দাবি করে বলেন, দেশের এই বিপন্নতা কাটিয়ে উঠতে হলে অবিলম্বে সকলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রয়োজন, যে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। গণতন্ত্র ফিরে আসলে ধীরে ধীরে সকল অশুভ শক্তি মুছে যাবে এবং শুভ শক্তির উদয় হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হারুন-অর রশিদ, এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, সেলিমুজ্জামান সেলিম, ছাত্রদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী সরকারের প্রতি উদ্দেশ্য করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নাকি ‘হেড অব দ্য গভর্নমেন্ট’ হিসেবে সকল তথ্য পেয়ে থাকেন। তাই যদি হয় তাহলে উনার প্রেস কনফারেন্সের একদিন পরেই পাবনায় আশ্রমের সেবায়েত নিত্য রঞ্জন পান্ডেকে কী করে কুপিয়ে হত্যা করল দুর্বৃত্তরা? আসলে প্রধানমন্ত্রী প্রকৃত জঙ্গিবাদকে দমন করতে চান না। মূলত বিরোধী দল দমনই তাদের আসল উদ্দেশ্য। আবার গতকালও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিম বলেছেনÑ শিগগিরই টার্গেট কিলিং বন্ধ হবে। এজন্য জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তাহলে এসব হত্যাকা-ের ঘটনায় তারাই জড়িত কীনা ?

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন