ভাড়াটিয়া তথ্য ফরম পূরণ করার পর ঢাকায় কোনো বড় জঙ্গি আস্তানা গড়ে উঠতে পারেনি। এছাড়া চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইসহ সাধারণ অপরাধও কমেছে। গতকাল সোমবার সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিআইএমএস) বা নাগরিক তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির একটি অ্যাপস উদ্বোধনের সময় পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, রাজধানীর বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য নিবন্ধনের জন্য সিআইএমএস মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে রাজধানীবাসীকে কোনো মেসেজ দিতে চাইলে তা দ্রুত মোবাইলে ও ই-মেইলের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে। অ্যাপটির মাধ্যমে বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়ার তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া আরো সহজ, নির্ভুল ও দ্রুত হবে। আমরা যখন নাগরিক তথ্য সংগ্রহ শুরু করি, তারপর থেকে সাধারণ অপরাধ কমা শুরু করেছে। এমনকি হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর নগরীতে বড় কোনো জঙ্গি আস্তানা গড়ে ওঠেনি। এই পদ্ধতি চালু থাকায় জঙ্গি মোকাবিলায় ভূমিকা রেখেছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি তামিম চৌধুরীর আস্তানা থেকে একটি এসএমএস পাওয়া গিয়েছিল বলে পরবর্তী সময়ে মিরপুরে একটি জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়া যায়। ২০১৫ সালে আমাদের ডিবি বাড্ডায় অভিযানে যায়। তখন তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার পর আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যাই। তিনি আমাকে বলেন, ঢাকা শহরকে নিরাপদ করতে চাইলে একটি ডাটা ভান্ডার তৈরি করা দরকার। তিনি নাগরিকদের একটা ডাটাবেজ তৈরি করতে বলেন। এরপর আমরা কাজ শুরু করি। অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান হলে ১০০ কোটি টাকা বাজেট হতো। কিন্তু আমরা কোনো বাজেট নেইনি। আমরা নিজেদের অর্থায়নে এ কাজ করেছি।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ৭২ লাখ বা তার চেয়েও বেশি নাগরিকের তথ্য আমাদের সিআইএমএসে যোগ হয়েছে। এখন কোনো বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়া তথ্য ফরম ছাড়া বাসা ভাড়া দিতে পারেন না। ভাড়াটিয়ারাও ফরম পূরণ ছাড়া বাসা নিতে পারেন না। এখন থেকে নাগরিকরা অ্যাপসের মাধ্যমে তাদের তথ্য দিতে পারবেন। এই অ্যাপসের মাধ্যমে নাগরিকদের সঙ্গে পুলিশের সরাসরি যোগাযোগ হবে। অ্যাপস ছাড়াও অ্যানালগ পদ্ধতিতে তথ্য ফরম পূরণ করার পদ্ধতি চালু থাকবে। ৯ সেপ্টেম্বর থেকেই নাগরিকরা পে-স্টোর হতে অ্যাপসটি ডাউনলোড করতে পারবেন। কিছুদিনের মধ্যে অ্যাপেল থেকে ডাউনলোড করা যাবে বলেও জানান পুলিশ কমিশনার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন