রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সরকারকে এবার কড়া বার্তা দিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাশেলেট বলেছেন, ‘বাংলাদেশে শরাণার্থী হিসেবে থাকা রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক। মিয়ানমার সরকার তাদের লোকদের ফিরিয়ে নিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’
মিয়ানমারের গণতন্ত্র উত্তরণ সুসংহত করার জন্য আন্তর্জাতিক উদ্যোগগুলোকে সহযোগিতা করারও আহ্বান জানিয়েছেন বাশেলেট।
জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪২তম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে তিনি আরও বলেন, ‘সেনা নিপীড়নের মুখে বাস্তুচ্যুত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অবস্থান করছে। তাদের ওপর মিয়ানমার সেনারা হত্যা ও যৌন সহিংসতা চালিয়েছে। রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুতির দুই বছর হয়ে গেছে। এবার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতেই হবে মিয়ানমার সরকারকে।’
রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুতি জাতিগতভাবে রাখাইন ও রোহিঙ্গা উভয়ের ওপরই প্রভাব ফেলেছে উল্লেখ করে বাশেলেট বলেন, ‘এ পরিস্থিতি শরণার্থী এবং অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের স্বদেশে ফিরে যাওয়ার পথ আরও কঠিন করে তুলবে। তাই চলমান রোহিঙ্গা সংকট দ্রুত সমাধান করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি শান রাজ্যে সংঘর্ষ বেড়ে যাওয়া ও দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বও রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুতি এবং মানবিক বিপর্যয়ের বড় কারণ। যা স্থিতিশীল অবস্থা অস্থিতিশীল করে তুলেছে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমার সেনা কর্তৃক নিপীড়ন, জ্বালাও-পোড়াও, গণহত্যা ও গণধর্ষণের মুখে সাগর ও সীমান্ত পাড়ি দিয়ে নতুন করে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। উখিয়া-টেকনাফের ৩২টি ক্যাম্পে বর্তমানে সব মিলিয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন