শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

টিআইবির প্রতিবেদন উড়িয়ে দিচ্ছি না ঃ ভূমিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

ভূমির দলিল নিবন্ধনে দুর্নীতির কথা স্বীকার করলেও দুর্নীতি পর্যবেক্ষক সংস্থা টিআইবির প্রতিবেদনে উল্লেখিত সব বিষয়ে একমত নন বলে জানালেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। তিনি বলেন, ভূমিখাতে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। টিআইবির প্রতিবেদন ওভাবে পুরোটা সমর্থন করতে পারছি না। তবে টিআইবির প্রতিবেদন একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছি না
দুদিন আগে সংবাদ সম্মেলন করে টিআইবি ‘ভূমি দলিল নিবন্ধন সেবায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলছে, ভূমি নিবন্ধন সেবায় অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিষ্ঠানিক রূপ ধারণ করছে।
সচিবালয়ে গতকাল বুধবার ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার ভূমিমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। অতপর ভূমিমন্ত্রীর কাছে টিআইবি’র প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ভূমিমন্ত্রী বলেন, টিআইবির রিপোর্টটা আমার নজরে এসেছে। তাদের রিপোর্টটাকে পুরোটা ওভাবে সমর্থন করতে পারছি না। ভূমি অফিসের জটিলতা ও সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু উন্নতি হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, টিআইবি যে রিপোর্টটা প্রকাশ করেছে, সেটা কখনকার বেইজ ধরে করেছে, সেটা কিন্তু তারা উল্লেখ করেনি। তিনি আরো বলেন, টিআইবি ভূমি নিবন্ধনের যে বিষয়টি উল্লেখ করেছে সেখানেই সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে। ঘুষ দুর্নীতি হচ্ছে। কিন্তু ভূমি নিবন্ধন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে না, আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে। রেজিস্ট্রেশন বিভাগটা যেহেতু আমার মন্ত্রণালয়ের আন্ডারে নয় তাই আমার এখানে হাত নেই।
টিআইবির প্রতিবেদন একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছি না মন্তব্য করে ভূমিমন্ত্রী বলেন, তবে তারা যেসব সমস্যা তুলে ধরেছেন, তার অনেকগুলো কিন্তু আমরা উন্নয়ন করেছি। এ উন্নয়নটা আমাদের অব্যহত রয়েছে। অনলাইন ডাটাবেজে পৌনে ৪ কোটি খতিয়ান আপলোড করা হয়েছে। মানুষকে আগে অনেক হয়রানি পোহাতে হতো। এখন আর হয়রানি পোহাতে হয় না।
এক প্রশ্নের জবাবে সাইফুজ্জামান বলেন, এ পর্যন্ত ৫০ জনেরও বেশি ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। তিনি (মিলার) বলেছেন, রোহিঙ্গারা কীভাবে ফেরত যেতে পারে সে বিষয়ে আমেরিকা কাজ করছে। অন্য দেশ পাশে থাকবে বলে আশা করছেন। তিনি বলেন. আমার মন্ত্রণালয় নিয়েও কথা হয়েছে। আমরা অটোমেশন এবং ডিজিটালাইজেশন করছি। আমেরিকা চাচ্ছে, ওখানে যদি কোনো হেল্প লাগে তারা করবে। আমরা তাদেরকে বলেছি, মোস্ট ওয়েলকাম। আমরাতো ইতিমধ্যে জিপিএস, জিএস এর মাধ্যমে কাজ করছি, সেখানে আমেরিকার বিষয়টা থেকেই যায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন