শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

উপজেলা পরিষদের উপদেষ্টা পদ থেকে এমপিদের বাদ দেয়ার যৌক্তিকতা নেই

সংসদ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

উপজেলা পরিষদের উপদেষ্টা পরিষদের পদ থেকে সংসদ সদস্যদের বাদ দেয়ার কোন যৌক্তিকতা নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার. পল¬ী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার প্রশ্নের জবাবে তিনি এতথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে মন্ত্রী বলেন, উপজেলা পরিষদের নীতি-নির্ধারণী পদ উপদেষ্টা থেকে এমপিদের বাদ দেওয়া সংক্রান্ত এই প্রশ্নটি কেনো করা হয়, জানি না। বাইরেও এ ধরণের প্রশ্নশুনি। এমপিরা উপদেষ্টা থাকলে সরকারের কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়। কাজের মান ভালো হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবদান রাখলে শিক্ষার মান ভালো হয়। তাই উপজেলা পর্যায়ে এমপিরা উপদেষ্টা থাকায় বাঞ্জনীয় বলে তিনি উলে¬খ করেন। সরকারী দলের হাবিব রহমানের সম্পূরক জবাবে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, নিজ নিজ এলাকার এমপিরা উপদেষ্টা এবং মতামত রাখা ও দায়িত্ব পালনের এখতিয়ার রয়েছে। যদি কোন রাস্তায় দায়িত্বে অবহেলা কিংবা দুর্নীতির কারণে নিম্নমানের কাজ হয়ে থাকে তাহলে লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, রাস্তার সংস্কার কাজ দ্রুত করার জন্য একটা মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল এ কারণে কিছুটা ব্যত্যয় হয়ে থাকতে পারে। তবে, আগামীতে অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাবেক হুইপ শহীদুজ্জামান সরকারের সম্পূরক জবাবে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার প্রশ্নত্তরে ডেঙ্গু বিষয়ে পদক্ষেপগুলো ব্যাপকভাবে বর্ণনা করেছেন। ওনার (পিএম) নির্দেশে ২৫ জুলাই থেকে ইউনিয়ন থেকে সিটি করপোরেশন পর্যন্ত মশা নিধনে ক্রাশ গ্রোগ্রাম শুরু করি, তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় সরকার থেকে কর্মসূচি হাতে নেওয়া হচ্ছে। বিরোধী দল জাতীয় পাটির মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সকল ওর্য়াডে নির্ধারিত কমপরিকল্পনা অনুযায়ী বছরব্যাপী মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এই বছরে শুরুতে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধির আশংকায় গত মার্চ থেকে মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। সরকারী দলে হাজী মোঃ সেলিম বলেন, রাজধানী ঢাকায় বসবাসরত মানুষের দৈনিক পানির চাহিদার পরিমাণ ২২০ থেকে ২৪৫ কোটি লিটার। তবে, ঢাকা ওয়াসা দৈনিক চাহিদার চেয়ে ১০ কোটি লিটার উদ্ধৃত উৎপাদন করছে। অর্থাৎ ওয়াসা ২৫৫ কোটি লিটার পানি উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছে। একইসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে পানির সিস্টেম লস ২০ শতাংশ। তবে, ঢাকা মেট্টো এলাকায় সিস্টেম লস (ডিএমএ) মাত্র ৫-৭ শতাংশে নেমে এসেছে, যা আগে ৪০ ভাগ পর্যন্ত ছিল। তিনি আরো বলেন, সিস্টেম লস কমানোর জন্য সরকার সমস্ত পানির পাইপ লাইন পরিবর্তন করে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার সেবা সংস্থাগুরোর মধ্যে সর্ব প্রথম ডিএমএ পদ্ধতি চালু করেছে। চলতি বছরের মধ্যে সকল বস্তিবাসী বৈধ পানি সরবরাহের নেটওয়ার্কের আওতায় আনার কার্যক্রম নিয়েছে। বিরোধী দল জাতীয় পাটির বেগম রত্মা আহমেদের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার করে জমির জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, পানি সংরক্ষণ, সেচ সুবিধা ও সেচ এলাকা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন