চট্টগ্রাম ব্যুরো : বর্ষার দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুমালা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে। গতকাল (রোববার) মৌসুমি বায়ু কক্সবাজার উপকূলভাগ পর্যন্ত এসে পৌঁছেছে। সেই সাথেই দেশের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হচ্ছে। আজও (সোমবার) দেশের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টিপাত এবং কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এদিকে সাগর এখনও উত্তাল থাকায় উপকূল ও সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে গোপালগঞ্জে ১৯৬ মিলিমিটার, তথা অতি ভারী বর্ষণ। এ সময় ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩৮, চট্টগ্রামে ৩৪, চাঁদপুরে ১১১, খুলনায় ১৫৬, বরিশালে ১১৭ মিলিমিটার।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুমালা কক্সবাজার উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। মৌসুমি বায়ু পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রাম উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে।
আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘন্টায় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের পূর্বাংশে আরও অগ্রসর হতে পারে। বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হওয়া অব্যাহত থাকার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন