বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

সরকারি দলের ছাত্র ও যুবকদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি

বিবৃতিতে কর্নেল অলি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি-এলডিপির প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, সরকারি দলের ছাত্র ও যুবকদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি প্রবেশ করেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কর্মকান্ড জাতিকে হতবাক করেছে। তিনি দেশের বৃহত্তর স্বার্থে অনতিবিলম্বে দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদের গ্রেফতারের দাবি জানান। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানিয়েছেন।

কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, রূপপুরের বালিশ কান্ড, স্বাস্থ্যা মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি, ফরিদপুর হাসপাতালের পর্দা কান্ড, খাগড়াছড়ির ঢেউটিনসহ হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির খবর ইতোমধ্যে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সরকার জানে মাদক ব্যবসার সঙ্গে কারা জড়িত, ব্যাংকের টাকা লুটের সঙ্গে কারা জড়িত, শেয়ার কেলেঙ্কারির সাথে কারা জড়িত। প্রায় আড়াই লাখ হাজার কোটি টাকা কিভাবে বিদেশে পাচার হয়েছে নিশ্চই সরকার এ ব্যাপারে অবগত আছেন। অদ্যবদি কোনো বড় দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে অতীতে কোনো সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। যার ফলশ্রুতিতে সরকারি দলের ছাত্র ও যুবকদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি প্রবেশ করেছে।

তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছর যাবৎ আমরা লক্ষ্য করেছি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলোতে দলীয়করণ এবং রাজনীতিকরণের ফলে অদক্ষ শিক্ষকরা ভিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার গৌরব হারাতে বসেছে। এখন কোনো সম্মানজনক অবস্থানে নেই। অন্যান্য পাবলিক বিশ্বদ্যালয়ের একই অবস্থা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালগুলোতে সঠিক নীতিমালা না থাকার কারণে শিক্ষার মান নিম্নমুখী। ইদানিং আমরা লক্ষ্য করেছি শিক্ষা অর্জনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত না হয়ে অবৈধ টাকা অর্জনের জন্য ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা লিপ্ত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে যুবলীগ, আওয়ামী লীগের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরাও পিছিয়ে নেই।

কর্নেল অলি বলেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে অনতিবিলম্বে দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে গ্রেফতার করা হোক। একই সঙ্গে তিনি যাদের ঘুষ দিয়েছেন ছাত্রলীগের সেই নেতাদের গ্রেফতার করা হোক। এই দুর্নীতির ব্যাপারে তথ্য ফোনালাপে প্রকাশ পেয়েছে। সুতরাং নতুনভাবে কোনো সাক্ষী ও প্রমাণের প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন