স্টাফ রিপোর্টার : প্রচলিত বিধি বিধান ও সরকারি ক্রয় নীতিমালা (পিপিআর) লঙ্ঘন করে পায়রা সমুদ্রবন্দরের ২৪০ কোটি টাকার নৌযান ক্রয় প্রকল্পে বেসরকারি পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। একই সঙ্গে পুনঃদরপত্র আহ্বানের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল (শনিবার) এক যুক্ত বিবৃতিতে কমিটির উপদেষ্টা প্রবীণ রাজনীতিবিদ মনজুরুল আহসান খান ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও নৌ মন্ত্রণালয়ের প্রতি এই আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, পরামর্শক নিয়োগ খাতে বরাদ্দ মঞ্জুর হওয়ার আগেই দরপত্র আহ্বান এবং দরপত্রের শর্তে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের দলনেতাকে ইতোপূর্বে জাহাজ সার্ভের অভিজ্ঞতার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়; যা পিপিআর পরিপন্থী। দরপত্র জমাদানকারী দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটিমাত্র প্রতিষ্ঠানেই জাহাজ সার্ভের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন নৌ স্থপতি (নেভাল আর্কিটেক্ট) আছেন; যাঁকে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অযোগ্যতার দায়ে ২০১০ সালে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। এছাড়া সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরে (ডিপার্টমেন্ট অব শিপিং-ডস) এক বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়ে মাত্র ১০ মাসের মাথায় চাকরি হারানো সাবেক এই শিপ সার্ভেয়ারকে ইতোপূর্বে প্যানেল অব সুপারভাইজারের (জাহাজ নির্মাণ তদারকি প্যানেল) পদেও অযোগ্য ঘোষণা করেন। অথচ বিতর্কিত এই নেভাল আর্কিটেক্টের ওপর ভিত্তি করে বিশেষ একটি প্রতিষ্ঠানকেই পরামর্শক নিয়োগ করা হলে শুরুতেই পায়রা বন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হবে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, পাঁচটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেওয়ার পর বন্দর কর্তৃপক্ষ চারটি প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিকভাবে যোগ্য বিবেচিত করে। কিন্তু এই চারটি প্রতিষ্ঠানের একটি বিধি লঙ্ঘন করে একইসঙ্গে অপর দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে দরপত্র জমা দিলেও এটিকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়নি। এসব কারণেই পুরো দরপত্র প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। বিবৃতিতে চলমান প্রক্রিয়া বাতিল ও নতুন করে দরপত্র আহ্বানের দাবি জানান জাতীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন