শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মৎস্যজীবীদের অনৈক্যের কারণে অন্যেরা ইজারা বাগিয়ে নেয়-মৎস প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেছেন, মৎস্যজীবী সংগঠনকেই জলমহাল ইজারা দেয়া সরকারের লক্ষ্য। তবে মৎস্যজীবীদের অনৈক্যের কারণে অর্থলগ্নিকারী অ-মৎস্যজীবী সংগঠন ইজারা বাগিয়ে নিতে সক্ষম হয়। হাওরের ইজারা প্রথা ও মৎস্য ব্যবস্থাপনা শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এসব কথা বলেন।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, কিছুক্ষেত্রে মৎস্যজীবী সমিতির নেয়া লিজকে তাদের কাছে অবৈধভাবে সাবলিজও দেয়া হয়, যা উচিত নয়। জলমহালের ইজারাপ্রাপ্তির অধিকার প্রকৃত মৎস্যজীবীদেরই এবং তাদেরই জলমহালের ইজারা দেয়া উচিত।
প্রতিমন্ত্রী জানান সরকার জনগণের আমিষ প্রাপ্তিবৃদ্ধিতে মৎস্যসম্পদসহ পোলট্রিখাতকেও এগিয়ে নিচ্ছে এবং মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণাকার্যক্রমের আওতায় গুলশা, পাবদা, টেংরাসহ হারিয়ে যাওয়া ৬০-৮০ ভাগ দেশী মাছের অনেকগুলো প্রজাতির পুনরাবির্ভাব ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। সমুদ্রে ৬৫দিন নিষেধাজ্ঞার সময় মৎস্যজীবীদের ৪৮ হাজার মেট্রিক টন চাল দেয়া হয়েছিল।
পবা’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে ও গবেষক পাভেল পার্থের সঞ্চাচলায় গোলটেবিলে আলোচনা করেন সাবেক সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাস, মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক কাজী শামস আফরোজ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক নেতা কুদ্দস আফরাদ, বিআইডবিøউটি এর সাবেক পরিচালক সৈয়দ মনোয়ার হোসেন, হাওর গবেষক হালিম দাদ খান, পবা’র সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, নেত্রকোণার জানমা মৎস্যজীবী সমিতির নেতা যোগেশ চন্দ্র বর্মণ প্রমুখ। গোলটেবিল আলোচনায় ধারণাপত্র উত্থাপন করেন বারসিকের পরিচালক সৈয়দ আলী বিশ্বাস।
গোলটেবিলে বক্তারা মৎস্য সম্পদ বাঁচাতে কৃষিখেতে রাসায়নিকের ব্যবস্থা বন্ধ করতেও আহবান জানান। হাওরাঞ্চলের বোমা মেশিন, অবৈধ বালু উত্তোলন, অপরিকল্পিত অবকাঠামো, উজানে অপরিকল্পিত খনন বন্ধের আহবান জানান। তারা আরো বলেন, প্রাকৃতিক মৎস্য উৎপাদন কমলেও চাষের মাছ কিন্তু বেড়েছে। কিন্তু সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার দ্বারা মাছের পোনা না ছেড়েও প্রাকৃতিক মৎস্য উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব। তারা বলেন, বর্তমান সরকার মৎস্যজীবীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্র তথা মৎস্যজীবী কার্ড প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করে। যেন প্রকৃত মৎস্যজীবীরা জলমহালসহ সরকারী সুযোগ সুবিধায় তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারে। তারা বলেন, যদিও সরকারি নীতিমালায় প্রকৃত মৎস্যজীবীদের অধিকারের কথা সুষ্টভাবে বলা হয়েছে কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে জলমহালে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। তারা আলোচনা সভায় তারা বলেন, উন্মুক্ত পাবলিক জলাভূমি ও হাওর ইজারা দেয়া যাবে না। হাওর ও জলাভূমি বোর্ডের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় প্রকৃত মৎস্যজীবীদের (যারা বংশ পরস্পরায় এই পেশার সাথে যুক্ত) সম্পৃক্ত করে যৌথভাবে হাওরের বিশেষ বিশেষ অঞ্চলকে প্রাকৃতিক মাছ উৎপাদন, সম্প্রসারণ ও সংরক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করে প্রাকৃতিক মাছ সংরক্ষণ করতে হবে। ###

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন