বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমল থেকেই ক্যাসিনো চলছে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ২০০৬ সাল থেকে বিএনপি ক্ষমতায় নেই। ক্যাসিনো যদি বিএনপি শুরু করে থাকে তাহলে ১৩ বছর সেটি চালু রাখলেন কেন? বন্ধ করলেন না কেন? হাছান মাহমুদ সাহেবও জানে এবং এদেশের প্রতিটি সচেতন মানুষ জানেন, কবে, কোথায়, কারা ক্যাসিনো সংস্কৃতি চালু করেছে। কারা শতাধিক ক্যাসিনো চালিয়ে আসছেন। তাদের গডফাদার কারা। কারা নেপালীদের হায়ার করে ক্যাসিনো চালাতে এদেশে এনেছে। কারা ক্যাসিনো মেশিন আমদানী করেছে। এগুলোতো বিএনপি’র শাসনামলে শুনা যায়নি। তারাতো ক্ষমতায় এক যুগ, এই ১২ বছর কি বিএনপি ক্ষমতায় ছিল? গতকাল (বুধবার) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ক্যাসিনো শব্দটির সাথে পরিচিত নয়। মাত্র ৭/৮ দিন হলো তারা ক্যাসিনো শব্দটি শুনছে আওয়ামী লুটেরাদের কল্যাণে। কিন্তু তথ্যমন্ত্রী বলেছেন জিয়াউর রহমানের আমল থেকে ক্যাসিনো চলছে, মির্জা আববাস ক্যাসিনো শুরু করেছে, হাওয়া ভবনে ক্যাসিনো ছিল। তাহলে সে সময়ের গণমাধ্যমের কোথাও কি ক্যাসিনোর কথা প্রকাশিত হয়েছিল? আওয়ামী লীগের মালিকানায় অনেক সাংবাদপত্র ছিল। কোথাওতো একটি শব্দ পাওয়া যায়নি। যখন মুখোশ খুলে গেছে তখন সেটি ঢাকতে তথ্যমন্ত্রীরা সভাবসুলভভাবে মানুষের মধ্যে বিরক্ত উদ্রেককারী ডাহা মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ক্যাসিনো-জুয়া বিএনপির সময়ে শুরু হলে ১২ বছর ক্ষমতায় থেকে কেন ধরলেন না? বাড়িতে বস্তা বস্তা টাকার ভাগ গেলে কেন ধরেননি? তিনি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবকে ধন্যবাদ। তিনি সাচ্চা কথাটি বলেছেন ‘মিথ্যা কথা বলে লাভ নেই, আওয়ামী লীগের সময়ই ক্যাসিনো শুরু হয়েছে’। তথ্যমন্ত্রীর এসব মিথ্যাচারের উদ্দেশ্য শহীদ জিয়া, দেশনেত্রী বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের জনপ্রিয়তায়কে কালিমালিপ্ত করার জন্য একটা ব্যার্থ প্রচেষ্টা।
রিজভী বলেন, বিবিসি’র অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকায় ক্যাসিনো সংস্কৃতির সূচনা হয়েছে কলাবাগান ক্লাবের হাত ধরে প্রায় ৭/৮ বছর আগে। যুবলীগের কয়েকজন নেতার নিয়ন্ত্রণে। অপর একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকায় ক্যাসিনোর বিস্তার ঘটান নেপালি নাগরিক দীনেশ ও রাজকুমার। ২০১৫ সালে ভিক্টোরিয়া ক্লাবে ক্যাসিনো খোলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে তারা অবৈধ এ ব্যবসা শুরু করেন। একজন প্রাবশালী যুবলীগ নেতার তত্ত¡াবধানে এরা একের পর এক ক্যাসিনো রুলে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে পাচার করেন। আর যুবলীগ নেতারা দেশে-বিদেশে গড়েন টাকার পাহাড়।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এখন থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়েছে তাই প্রলাপ বকছেন। এসব বন্ধ করুন। বাংলাদেশের মানুষকে কি বোকা ভাবেন? শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যাবেনা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন