কোরবানিসহ বছরজুড়ে কাঁচা চামড়া সংরক্ষণে বিভিন্ন জেলায় গোডাউন নির্মাণ করা হবে। এ জন্য দ্রুত প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অধীনে গৃহীত প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। শিল্প সচিব মোহাম্মদ আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে সভায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার জন্য বিসিককে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ সময় বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা আছে এমন প্রতিষ্ঠানকে প্রকল্পের কাজ দেয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
জমি অধিগ্রহণের কারণে কোনো প্রকল্পের কাজ যাতে দেরি না হয় সে বিষয়ে সচেতন থাকতে প্রকল্প পরিচালকের প্রতি নির্দেশ দেন শিল্পমন্ত্রী। রাসায়নিক পণ্য সংরক্ষণের জন্য তিনটি রাসায়নিক গুদাম নির্মাণের কাজ দ্রুত দৃশ্যমান করতে নির্দেশনা প্রদান করে মন্ত্রী বলেন, এ কাজে দেরি হলে কোনো কারণ গ্রহণযোগ্য হবে না।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানহসমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের উপস্থিত থাকা প্রয়োজন। প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের সব প্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ গ্রেড হতে উচ্চতর গ্রেডে বদলি মন্ত্রী পর্যায়ে নিষ্পন্ন করতে হবে বলে জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৪ চিনিকলের জন্য বর্জ্য শোধনাগার প্রকল্প নির্মাণের ক্ষেত্রে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।
সভায় জানানো হয়, অত্যন্ত সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্পের উন্নয়নে ৫০ বছরের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। সাভারে চামড়া শিল্পনগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার প্ল্যান্ট বা সিইটিপির কাজ চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে। কঠিন বর্জ্যরে জন্য ডাম্পিং নির্মাণের ডিজাইনের কাজ চলছে। চামড়া শিল্প নগরীর পাশে এক্সেসরিজ শিল্প নগরী স্থাপনের জন্য ২০০ একর জমি নিয়ে একটি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চামড়া খাতের দক্ষ কারিগর তৈরি করতে চামড়া শিল্প ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে। সভায় আরও জানানো হয়, মুন্সীগঞ্জে অবস্থিত বিসিক কেমিক্যাল পল্লীর মাটি ভরাটের কাজ এ বছরের মধ্যেই শেষ হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন