স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ একাংশ) স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেছেন, আপনি আপনার মন্ত্রীকে থামান, ঐক্য বিনষ্টকারীকে থামান। আপনাকে পরিষ্কার করতে হবে, আপনি ঐক্য চান কি চান না। আপনি মুখে ঐক্যের কথা বলবেন, আর ঐক্য বিনষ্টকারীরা কাদা ছোড়াছুড়ি করবেÑজাসদ এসব মেনে নিতে পারে না।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাসদ সভাপতি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর জাসদ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জাসদের অন্যতম নেতা অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, যখন জঙ্গিরা মহাজোট সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছে, তখন সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের জাসদ থেকে মন্ত্রী করায় সরকারকে পস্তাতে হবে এ ধরনের উক্তি খুবই দুঃখজনক।
জাসদ একাংশের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার গুপ্তহত্যা-উগ্রবাদ-সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় সর্বস্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণগ্রতিরোধ গড়ে তুলতে জাসদ ও ১৪ দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গুপ্তহত্যা-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একার লড়াই না, এই লড়াই সমগ্র জাতির লড়াই। তাই এখন অতীত নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ির, বিভক্তির সময় নয়, ঐক্যকে জোরদার করার সময়।
শিরিন বলেন, হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে জাসদ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। দেশকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে কাজ করছে। অথচ সৈয়দ আশরাফের জাসদ প্রসঙ্গে বক্তব্য সবার মধ্যে ঐক্য বিনষ্ট করার ইঙ্গিত। ১৪ দলের ঐক্যর বিষয়ে আওয়ামী লীগকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
শিরিন আখতার বলেন, জাতীয় পর্যায়ের কোনো নেতার এমন কথা বলা উচিত না, যাতে ঐক্য নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে, শত্রুপক্ষ উৎসাহিত হতে পারে।
তিনি বলেন, সবাই সবার অতীত জেনেই জাতীয় প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। জাসদ ইতিহাসকে আড়াল করে না। জাসদ অতীতের উপর দাঁড়িয়েই রাজনৈতিক প্রয়োজনে ঐক্য করেছে। রাজনৈতিক ঐক্য মানে লেন-দেন, দান-অনুদান, করুণা-অনুকম্পা না।
শিরীন বলেন, কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হাসানুল হক ইনু বা জাসদকে ভয় দেখানো যাবে না। জঙ্গিবাদ-উগ্রবাদ-গুপ্ত হত্যার বিরুদ্ধে জাসদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।
জাসদ ঢাকা মহানগর কমিটির সমন্বয়ক মীর হোসেন আখতারের সভাপতিত্বে বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন, মহানগর যুগ্ম-সমন্বয়ক নুরুল আখতার, শওকত রায়হান, সফি উদ্দিন মোল¬া, ইদ্রিস আলী, শহীদুল ইসলাম, এ কে এম শাহ আলম, মাইনুর রহমান, মো. নুরুন্নবী, মুহিবুর রহমান মিহির, রোকনুজ্জামান রোকন, শ্রমিক নেতা কাজী সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি মুহাম্মদ সামছুল ইসলাম সুমন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন