বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে -ভারতের স্পিকার

প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ভারতের লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজান বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছেন। এখন তার সুফল ভোগ করছেন তারা।
শনিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে দুই দিনব্যাপী ‘অ্যাচিভিং সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল’ শীর্ষক সাউথ এশিয়ান স্পিকারস সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) আয়োজিত এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ও ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের (সিটিএফকে) সহায়তায় এই সম্মেলন হচ্ছে। ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) আয়োজিত এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ও ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের (সিটিএফকে) সহায়তায় আয়োজিত সামিটে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পিকার ও কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের সভাপতি ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ভারতের লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন, ভুটানের পার্লামেন্টের স্পিকার জিগমে জ্যাংপো, মালদ্বীপের পার্লামেন্টের স্পিকার আব্দুল্লাহ মাসিহ মোহাম্মদ, আফগানিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার আব্দুর রউফ ইব্রাহিমী। সামিটে পাকিস্তান ও নেপালের স্পিকারকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তারা যোগ দেননি। সামিটে যোগদানের কথা থাকলেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসতে পারেনি শ্রীলংকার ডেপুটি স্পিকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইপিইউ প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী। আজ রোবাবার বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন।
সম্মেলনের আলোচনায় পাঁচটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায় এসডিজির গুরুত্ব, এসডিজি বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যালোচনায় পার্লামেন্টগুলোর ভূমিকা, এসডিজির স্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধি সংক্রান্ত গোল-৩ এর অধীন সুযোগসমুহ, তামাক মহামারির বর্তমান অবস্থা ও নিয়ন্ত্রণে কৌশল নির্ধারণ, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় নীতিকৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
ভারতের লোকসভার স্পিকার বলেন, আইপিইউ এবং কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়শনের (সিপিএ) মত দুটি পদের প্রধান বাংলাদেশে দুজন এমপি। এটি সত্যিই গর্বের বিষয়। বাংলাদেশে যে উন্নয়ন করছে এটি তার প্রমাণ। এ সময় সুমিত্রা জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে ছোটবোন সাবের হোসেন চৌধুরী ভাইকেও অভিবাদন করেন। তিনি বলেন, এটা সত্যিই গর্বের বিষয়। বাংলাদেশে যে উন্নয়ন করছে, এটা তার প্রমাণ।
তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দী হবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অর্জন সম্ভব।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো খুবই জনবহুল। এজন্য এসডিজি বাস্তবায়ন করতে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। আর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের মত জনপ্রতিনিধিদের কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো শুধু ইতিহাস শেয়ার করে নয়। আমাদের সংস্কৃতি, ভৌগলিক এবং আর্থসামাজিক অবস্থান প্রায় একই। এজন্য আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার প্রত্যেকটি দেশ তার সম্পদের সঠিক ব্যবহার ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন করতে পারে। এক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। টেকসই উন্নয়নে জনপ্রতিনিধিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো খুবই জনবহুল । এজন্য এসডিজি বাস্তবায়ন করতে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। আর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের মত জনপ্রতিনিধিদের কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো শুধু ইতিহাস শেয়ার করে নয়। আমাদের সংস্কৃতি, ভৌগলিক এবং আর্থসামাজিক অবস্থান প্রায় একই। এজন্য আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হবে বলে মনে করেন মালদ্বীপের স্পিকার আব্দুলাহ মাসিহ মোহাম্মদ। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে আমাদের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে।
সম্মেলনের ধারণাপত্রে বলা হয়, এসডিজি’র সফলতা সারাবিশ্বের মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন নিয়ে আসবে। আইপিইউ’র সদস্য দেশগুলো এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আইপিইউ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করতে পারে।
ধারণাপত্রে আরো বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, পাকিস্থান, মায়ানমার এবং শ্রীলংকার ৩৮৪ মিলিয়ন লোক ধূমপান করে। যা বিশ্বের মোট জনগোষ্ঠীর ৩৪ দশমিক ৮ শতাংশ। বিশ্বে টোবাকো ব্যবহারকারী রয়েছে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন। কেবল বাংলাদেশ এবং ভারতেই প্রতিবছর ১ দশমিক ১ মিলিয়ন লোক ধূমপানের কারণে মারা যায়। এজন্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে এসডিজি অর্জনের ক্ষেত্রে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার আহ্বান করা হয় ধারণাপত্রে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন