শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আটক রবিন মাদকাসক্ত গুন্নুকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরুই করা হয়নি

প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় গ্রেফতার সন্দেহভাজন শাহ জামান রবিন ‘মাদকাসক্ত’। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে সে আবোল-তাবোল কথা বলছে। এমন তথ্য জানিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ সেলের একজন কর্মকর্তা জানান তার কাছ থেকে এ  হত্যাকা-ের কোনো তথ্য পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। সাত দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। গত রোববার আলোচিত এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
ওইদিনই তাকে ডিবি হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। গত ৯ জুন মদ্যপ অবস্থায় একজন রিকশা চালককে মারধরের ঘটনায় পাঁচলাইশ থানা পুলিশ রবিনকে আটক করে। পরে তাকে মিতু হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়। পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, মদ্যপ অবস্থায় এক বন্ধুসহ রিকশা চালককে মারধর করছিল সে। ওই সময় সে বাবুল আক্তারের স্ত্রীকে হত্যা করেছে বলেও হম্বিতম্বি করে। রিকশা চালক পাঁচলাইশ থানায় এসে এ অভিযোগ দেয়ার পর পুলিশ তাকে ধরে এনে এ মামলায় চালান করে দেয়।
জিজ্ঞাসাবাদে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন কর্মকর্তা জানান, সে আসলে মাদকাসক্ত। মদ্যপ অবস্থায় কি বলেছে তার পুরোটাই ভোগাস। এদিকে সন্দেহভাজন অপর আসামি হাটহাজারীর মুসাবিয়ার দরবারের খাদেম আবু নসর গুন্নুকে একইদিন ৭ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়া হলে গতকাল পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেনি মামলার তদন্তকারী সংস্থা ডিবি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) ডিবির সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ কামরুজ্জামান ইনকিলাবকে বলেন, আবু নসরকে এখনও রিমান্ডে আনা হয়নি। রবিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তার কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি। রিমান্ড শেষে নতুন করে রিমান্ড চাওয়া হবে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার কাছে কোনো তথ্য মিলছে না নতুন করে আর রিমান্ড চাওয়ার আপাতত কোনো প্রয়োজন নেই। আবু নসর গুন্নুকে যে কোনো সময় কারাগার থেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।
৫ জুন শিশু পুত্রকে স্কুল বাসে তুলে দিতে গিয়ে নগরীর জিইসি মোড়ের অদূরে ও আর নিজাম রোডে নির্মম হত্যাকা-ের শিকার হন সিএমপির এডিসি ডিবি থেকে পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে বদলি হওয়া বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু। খুনিচক্রের তিন সদস্য উপর্যুপরি কুপিয়ে ও গুলি করে তাকে হত্যা করে। হত্যাকা-ের ১১ দিন পার হলেও মূল রহস্য উদঘাটন করা যায়নি। খুনিচক্রের সদস্যরাও চিহ্নিত কিংবা গ্রেফতার হয়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন