স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে : সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিহাস ভুলে গেছেন একথা ঠিক না। ইতিহাসের উপর দাঁড়িয়েই আমরা বাস্তবতার নিরীক্ষে সময়ের প্রয়োজনে রাজনীতি করবো।
বুধবার দুপুরে সাভারের হেমায়েতপুর-সিংগাইর সংযোগ সড়কের সংস্কার কাজ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনু’র সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের করা এক মন্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা একটা রাজনৈতিক ঐক্য। সময়ের প্রয়োজনে বাস্তবতার নিরিখে করা হয়েছে। এর অর্থ এই নয় যে আমরা ইতিহাস ভুলে গেছি। ইতিহাসকে ভুলে যাওয়া যায় না। ইতিহাসে অনেক সত্য আছে। যেসব কথা সব সময় বলা সমীচীন হবে না।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক যেটা বলেছে সেটা তার ব্যক্তিগত মন্তব্য। এটা আমাদের দলের উপর কোন প্রভাব ফেলবে না।
বিএনপির আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ঈদ আসলেই তারা আন্দোলনে কথা বলে কিন্তু আমার কথা হচ্ছে এই বছর না ওই বছর, এই ঈদ না ওই ঈদ, কোন ঈদের পরে তাদের আন্দোলন হবে সেটা জানতে চাই। এটা আষাঢ়ের তর্জন-গর্জন।
এর আগে মহাসড়ক পরিদর্শন করে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়ে দেশের প্রতিটি এলাকার রাস্তাঘাট আগের চেয়ে অনেক ভালো। কোথাও যানজটের জন্য কোন সমস্যা হবে না। তবে ফিটনেসবিহীন গাড়ীর কারণে কিছুটা যানজট হতে পারে।
এছাড়া মহাসড়ক দখল করে বাজার নির্মাণের কারণে বিভিন্ন জায়গায় যাটজটের সৃষ্টি হয়। তাই যে সব স্থানে মহাসড়কের উপর বাজার রয়েছে সেগুলো উচ্ছেদসহ যেখানেই রাস্তা দখল হয়েছে তা দখলমুক্ত করতে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকার আশপাশে ১৫টি পয়েন্টে যানজট নিরসনে ঈদের পাঁচ দিন আগে থেকে পুলিশের পাশাপাশি সারা দেশে ১০ হাজার রোভার স্কাউটের সদস্যদের মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও শিশু, বৃদ্ধ এবং নারীদের কথা চিন্তা করে এবার ভ্রাম্যমাণ টয়লেটেরও ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
এসময় মন্ত্রীর সাথে সাভারের সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমরসহ সড়ক ও জনপথের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সরজমিনে সড়কটির সংস্কার কাজে দেখা যায়, নিম্নমানের কালো পাথর দিয়ে ঢালাইয়ের কাজ করছে। কোন রকম পিচ দিয়ে রাস্তা সমান করছে। পায়ে হাঁটলে জুতার ঘষায় পাথর উঠে যায়। অথচ ব্যস্ততম এ সড়কটি দিয়ে দিন-রাত যানবাহন চলাচল করছে। এ প্রসঙ্গে জানতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কাজলকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন