ইনকিলাব ডেস্ক : গতকাল পৃথক বন্দুকযুদ্ধে পাবনায় হত্যা মামলার আসামী এক সন্ত্রাসী, বি-বাড়িয়ায় ডাকাত ও যশোরে অজ্ঞাতনামা যুবক নিহত হয়েছে।
ঈশ্বরদীতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রুবেল হোসেন (২৫) নামের এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রুবেল উপজেলার দিয়ার বাঘইল গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে। পুলিশ জানায়, নিহত রুবেল পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই সুজাউল ইসলাম সুজা হত্যা মামলার প্রধান আসামি। সে সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি রিভলবার ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বিমান কুমার দাশ জানান, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই সুজাউল ইসলাম সুজা
হত্যা মামলার প্রধান আসামি রুবেল হোসেনকে ঈশ্বরদী উপজেলার দিয়ার বাঘইল রেললাইনের পাশ থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী আরেক আসামি ইবরা হোসেনকে গ্রেফতারের জন্য রুবেলকে নিয়ে পদ্মার চরে অভিযানে যায় পুলিশ। সেখানে পৌঁছার পর পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে রুবেলের অপর আসামিরা। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এসময় রুবেল পালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়। কিছু সময় বন্দুকযুদ্ধ চলার পর হামলাকারীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি রিভলবার ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে গুলিবিদ্ধ রুবেলকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক ও ৩ কনস্টেবল আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের গত ৪ অক্টোবর রাতে ঈশ্বরদীর পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই সুজাউল ইসলামকে (৩৫) হাত-পা, মুখ বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন ৫ অক্টোবর সকালে পাকশী পেপার মিলস কলোনি সংলগ্ন হলুদের ক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রেজাউল করিম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় এখন পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এদিকে এটিএসআই সুজাউল হত্যা মামলার প্রধান আসামী পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনায় আনন্দ মিছিল করেছে পাকশী ইউনিয়ন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। গতকাল বুধবার সকালে রূপপুর মোড়ে এই আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় উপস্থিত ছিলেন আ’লীগ নেতা রেজাউল করিম রাজা, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মেজবুল হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হাসান প্রমুখ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত নিহত
বি.বাড়িয়ায় জেলা সংবাদদাতা জানান, গত মঙ্গলবার রাতে আবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বন্দুকযুদ্ধে রুবেল মিয়া (৩২) নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছে। পুলিশের ভাষ্য, নিহত জীবন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ডাকাত। সে উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের মহরম আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে জেলার সরাইল ও হবিগঞ্জ মাধবপুর থানায় ৯ টি মামলা রয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রূপক কুমার সাহা জানান, মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে ডাকাতরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলের বাড়িউরা ব্রিজের সামনে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এমন খবরের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধ হয়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে। ডাকাত জীবন গুলিবিদ্ধ হয়ে মহাসড়কের পাশের একটি ঝোঁপে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঝোঁপ থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জীবনকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠালে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় পুলিশের কনস্টেবল আজিজ, রবিউল ও মেহেদী আহত হয়। তাদেরকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, দুই রাউন্ড গুলি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রূপক কুমার সাহা জানান, নিহত জীবনের বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলা, পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই ও নারী নির্যাতনসহ ডাকাতির অভিযোগে সরাইল ও হবিগঞ্জের মাধবপুর থানায় ৯টি মামলা রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন