রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি আমানত ও ঋণের সুদ হারের পার্থক্য (স্প্রেড) কমে এসেছে পুরো ব্যাংকিং খাতে। তবে সার্বিকভাবে আমানত ও ঋণের সুদ হারের পার্থক্য কমলেও নির্ধারিত সীমার উপরেই রয়েছে বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংক।
তথ্য অনুযায়ী, আাগের মাসেও (জুলাই) ব্যাংক খাতের গড় ঋণ-আমানত অনুপাত হারের পার্থক্য ছিল ৪ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। তবে আগস্ট মাসে এসে এই হার নেমে এসেছে ৪ শতাংশে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী রাষ্ট্রায়ত্ত¡ ব্যাংকের আমানত-ঋণের সুদহারের পার্থক্য ২ দশমিক ১৯ শতাংশ, বিশেষায়ীত ব্যাংকের ১ দশমিক ৮৪ শতাংশ, বিদেশি ব্যাংকের ৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং বেসরকারি ব্যাংকের ৪ দশমিক ১২ শতাংশ।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গড় স্প্রেড হার কমলেও অধিক সুদে আমানত সংগ্রহ করছে ব্যাংকগুলো। ঋণ বিতরণ করছে তুলনামূলক আগের চেয়ে বেশি সুদে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ব্যাংকিং খাতে ডিপোজিট বা আমানতের সংকট এখনও বিদ্যমান। তাই আমানত সংগ্রহে বেশি খরচ করতে হচ্ছে। এ কারণে স্বাভাবিকভাবেই বেশি সুদে ঋণ বিতরণ করতে হচ্ছে।
এই মুহূর্তে আমানতের বিপরীতে সরকারি ব্যাংকেগুলো গড়ে ৪ দশমিক ৩১ টাকা ব্যাংক করছে। অন্যদিকে ঋণের বিপরিতে সুদ নিচ্ছে গড়ে ৬ দশমিক ৬৮ টাকা। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিশেষায়ীত ব্যাংকগুলোর আমানত সংগ্রহের সুদ হার ৫ দশমিক ৭১ টাকা এবং ঋণের বিপরীতে সুদ হার ৭ দশমিক ৫৬ টাকা। বিদেশী ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে আমানত ও ঋণের সুদ হার যথাক্রমে ২ দশমিক ৪৫ ও ৯ দশমিক ৪৮ টাক।
৪০টি বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে ৪ শতাংশীয় সীমানার বাইরে রয়েছে ২২টি ব্যাংক। সার্বিকভাবে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর স্প্রেড হার ৪ দশমিক ১৬ শতাংশ। এদের মধ্যে ৫টি ব্যাংক অবস্থান করছে নির্ধারিত স্প্রেড সীমার অনেক উপরে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন