আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়াম সভায় উপস্থিত হননি সংগঠনটির চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। চেয়ারম্যান কোথায় আছেন তা সংগঠনের নেতারা কেউ জানেন না। গতকাল শুক্রবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ।
তবে যুবলীগের চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তেই এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে সংগঠনের প্রেসিডিয়ামের সদস্যরা জানান। সভায় দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান আনিসকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। উল্লেখ, ক্যাসিনো এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবলীগের একাধিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর ব্যাংক হিসেব তলব করা হয়েছে এবং তার বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সভা শেষে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ আতিয়ার রহমান দিপু সাংবাদিকদের বলেন, সভায় চেয়ারম্যান ছিলেন না। তবে সভা ডাকার অনুমতি চেয়ারম্যান দিয়েছেন। চেয়ারম্যানের নির্দেশই এই সভা হয়েছে। তিনি কেনো আসেননি সে বিষয়টি জানা নেই। হয়তো অসুস্থতার কারণেও নাও আসতে পারেন। চেয়ারম্যানকে বাদ দিয়ে নয়, চেয়ারম্যানের নির্দেশেই বৈঠকটি হয়েছে। উনি কোথায় আছেন আমরা কেউই জানি না।
ওমর ফারুক চৌধুরী যুবলীগের চেয়ারম্যান পদে থাকার নৈতিকতা হারিয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আতিয়ার রহমান দিপু বলেন, যুবলীগের চেয়ারম্যানের পদের বিষয়ে একমাত্র সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার। আর যাদের বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে তাদের বিষয়েও তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যুবলীগের চেয়ারম্যানের পদটার মালিক কিন্তু আমি না, পদ দেয়ার মালিক যিনি, আপনারাও জানেন এই প্রশ্নের উত্তর আমার দেয়া সম্ভব নয়।
যুবলীগের আগামী সম্মেলনে সভাপতিত্ব কে করবেন? জানতে চাইলে আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক এ বি এম আমজাদ হোসেন বলেন, এর দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। উনি যেভাবে বলবেন সেভাবেই হবে। আজকের সভায় সাধারণ সম্পাদক সভাপতিত্ব করেছেন। চেয়ারম্যান একটি বড় পোস্ট, এর জন্য প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন আমরা তাই করব।
কাজী আনিসের বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে এ বি এম আমজাদ হোসেন বলেন, কাজী আনিস বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক। তার দুর্নীতির কথা আমরা পত্র-পত্রিকায় দেখেছি এবং অর্থনৈতিক তসরুপের কারণে তাকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
যুবলীগের এ সভায় প্রেসিডিয়াম সদস্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন শহিদ সেরনিয়াবাত, শেখ শামসুল আবেদীন, আলতাব হোসেন বাচ্চু, মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মো. ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরন, আবদুস সাত্তার মাসুদ, মো. আতাউর রহমান, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসাইন, আবুল বাশার, মোহাম্মদ আলী খোকন, আনোয়ারুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার নিখিল গুহ, শাহজাহান ভুইয়া মাখন, ডা. মোখলেছুজ্জামান হিরু।
উল্লেখ, যুবলীগের জাতীয় কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন