স্টাফ রিপোর্টার : কারাগারের পরিবেশ অমানবিক বলে অভিহিত করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দু’ঘণ্টাব্যাপী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রীয় কারাগারে ধারণক্ষমতা রয়েছে ২০০৬ জনের। অথচ সেখানে বন্দী রয়েছে ৭৩২৮ জন। ধারণক্ষমতার চেয়ে তিনগুণ বেশি বন্দী থাকলে কতটা সেবা দেওয়া সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সারাদেশে ৫৮৬ জন বন্দী কারাভোগের মেয়াদ শেষের পরও কেন মুক্তি পাচ্ছেন না-বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান ড. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, কারাগারের ভেতরে অবস্থিত হাসপাতালের চিত্র দেখে তিনি আহত হয়েছেন। হাসপাতালের সেবা যথেষ্ট মানবিক নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। কারাগারে সেবার মান নিশ্চিত করার জন্যও সুপারিশ করেন তিনি।
ড. মিজানুর রহমান বলেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কেরানিগঞ্জে বন্দী স্থানান্তরের সময় যেন কোনো ধরনের বাণিজ্য কিংবা প্রভাবশালীরা যেন টাকার বিনিময়ে কোনো সুযোগ-সুবিধা নিতে না পারেন।
এজন্য কারা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকারও পরামর্শও দেন তিনি। তিনি আরো বলেন, সাঁড়াশি অভিযানে আটকদের নিয়ে বাণিজ্য চলছে এমন অভিযোগও আমাদের কাছে আসছে। আর বন্দীদের উপর এর কতটুকু প্রভাব পড়ছে তা উপলদ্ধি করা যায়, যখন ধারণক্ষমতার তিনগুণেরও বেশি বন্দী থাকে কারাগারে। তবে মানবাধিকার কমিশনের করা অভিযোগ অস্বীকার করেন কারা কর্তৃপক্ষ।
পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার বাণিজ্য নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করায় সম্প্রতি মিজানুর রহমানের সমালোচনা করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক। মিজানুর রহমানের সমালোচনা করে আইজিপি বলেছিলেন, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান জিজ্ঞেস করলেই হুট করে কথা বলে ফেলেন। তিনি তথ্য না নিয়ে, না বুঝে, না শুনে হুট করে মন্তব্য করে ফেলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন