শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সংসদে পানিসম্পদমন্ত্রী : অচিরেই তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি

প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : তিস্তা নদীর অন্তর্বর্তীকালীন পানি বণ্টন চুক্তির ফ্রেমওয়ার্ক চূড়ান্ত করা হয়েছে। অচিরেই তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি সম্পাদন করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার দশম জাতীয় সংসদের একাদশতম অধিবেশনে জাতীয় পার্টির এ কে এম মাঈদুল ইসলামের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।
পানি সম্পদ মন্ত্রী জানান, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনার প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে তিস্তা নদীর অন্তর্বর্তীকালীন পানি বণ্টন চুক্তির ফ্রেমওয়ার্ক চূড়ান্ত করা হয়েছে। অচিরেই সমতা, ন্যায়ানুগতা এবং পারস্পরিক ক্ষতি না করার নীতির ভিত্তিতে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি সম্পাদন করা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ভারতের সঙ্গে আলোচনাপূর্বক চুক্তি স্বাক্ষরের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
তিস্তা চুক্তির বিষয়ে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী আরও জানান, ‘সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে বিভিন্ন পর্যায়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে। বিশেষ করে, ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে শুকনো মৌসুমে তিস্তা নদীর পানি স্বল্পতার কারণে দু’দেশের জনদুর্ভোগের কথা অনুধাবন করে জরুরি ভিত্তিতে তিস্তা নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া প্রয়োজন মর্মে যৌথ ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঈদ বোনাস চান এমপিরা
বিভিন্ন উৎসবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো ঈদ বোনাস চান সংসদ সদস্যরাও (এমপি)। ঈদ বোনাসের দাবি জানিয়েছেন গাইবান্ধা-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ডা. মো. ইউনুস আলী সরকার। গতকাল বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, দেশের সবাই ঈদ বোনাস পান। কিন্তু আমরা কেন  বোনাস পাই না, তাই আমরা সবাই বোনাস চাই। এ সময় উপস্থিত সব সংসদ সদস্য টেবিলে চাপড়িয়ে তার এই দাবিকে সমর্থন করেন।
ডা. ইউনুস আলী সরকার বলেন, সরকারি পিয়ন থেকে শুরু করে সচিব পর্যন্ত সবাই ঈদ বোনাস পান। বৈশাখেও বোনাস দেয়া হয়। আমরা কেন বোনাস পাই না। তাই আমাদেরও বোনাসের ব্যবস্থা করা হোক।
তিনি প্রত্যেক সংসদ সদস্যের জন্য একশ’ কোটি টাকার বরাদ্দের দাবি জানিয়ে বলেছেন, আগে যে ২০ কোটি থোক বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল, তা দিয়ে সংসদ সদস্যরা এলাকার উন্নয়ন করেছেন। এখানে একটি পয়সাও এমপিদের পকেটে যায়নি বলে আমি বিশ্বাস করি। তাই ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলে উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে।
সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে টিআর কাবিখার টাকা চুরির অভিযোগকে অসত্য দাবি করে বলেন, কথায় কথায় বলা হয় এমপিরা টিআর খায়, আসলে কথাটা সত্যি না। আমি একজন সংসদ সদস্য  হিসেবে এখনো ১২০ টাকার লুঙ্গি পড়ি। আমার মতও সব সংসদ সদস্যই একতম হবেন এমপিরা কোনো টিআর খায় না। আমরা সবাই এলাকার উন্নয়ন করি।
এনজিওগ্রাম, এক্সরে মেশিনসহ অন্যান্য অতি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা যন্ত্রপাতির উপর থেকে ট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। এছাড়া দেশে ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের ঐক্য থাকলে কেউ কোনো দিন আওয়ামী লীগকে দমিয়ে রাখতে পারবে না। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন