সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

মিতু হত্যা মামলা তদন্তে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই : পুলিশ কমিশনার

প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদ খানম মিতু হত্যার তদন্তে কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই জানিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মো: ইকবাল বাহার বলেছেন, আমাদের হাতে সম্ভাব্য যত অপশন আছে সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোন অপশন আমরা খালি রাখছি না। তদন্ত কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এই খুনের ঘটনায় আটক আবু নসর গুন্নু ও শাহ জামান রবিন জড়িত কি না এ বিষয়ে পুলিশ এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেনি বলে জানিয়েছেন সিএমপির কমিশনার। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সিএমপি কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। মিতু হত্যাকা-ের পর দিন এমন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ইকবাল বাহার বলেছিলেন, আমরা অনেক দূর এগিয়েছি, আশা করি রাতের মধ্যে ভাল কোন খবর দিতে পারবো। বার দিন পর তিনি বললেন, তদন্তে এখনও কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।  
পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, আটক দুজন মিতু হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না তা এখনো বলতে পারছি না। তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আরও ৪দিন তারা পুলিশের হেফাজতে থাকবে।  এ ঘটনায় তাদের কাছ থেকে তথ্য আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কোন ফলাফল জানাতে পারবো।
এক প্রশ্নের উত্তরে টার্গেট কিলিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য কম আসছে। এজন্য জনসাধারণের প্রতি বলবো, আমাদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন। পর্যাপ্ত তথ্য পেলে এ ধরনের ঘটনা মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। এর আগে ১২ জুন মিতু খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক গুন্নু ও রবিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন আদালত।  
গত ৭ জুন হাটহাজারীর মূসাবিয়া দরবার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু নসর গুন্নুকে আটক করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। গুন্নুকে আটকের পর মূসাবিয়া দরবারের পরিচালনা কমিটির একাংশ সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করে, পুলিশ ৩০ লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে মিতু হত্যায় ফাঁসিয়েছে।
শাহ জামান রবিনকে ১১ জুন নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার শীতলঝর্ণা আবাসিক এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। তাকে মূল খুনি হিসেবে সন্দেহ করছে পুলিশ। গত ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় নগরীর ও আর নিজাম রোডে দুর্বৃত্তদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত ও গুলিতে নিহত হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার নিজে বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্তে সহযোগিতা ও আসামি গ্রেফতারে ৬টি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখনও আলোচিত এই হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন কিংবা খুুনিদের চিহ্নিত করা যায়নি।



 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন