শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নৃশংসতা

সুনামগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা ও দিরাই উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউরা গ্রামে তুহিন (৫) নামের এক শিশুকে কান, লিঙ্গ ও গলা কেটে এবং পেটে ছুরি ঢুকিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত শিশু উপজেলার কেজাউরা গ্রামের আব্দুল বাছের মিয়ার ছেলে। রোববার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটলেও জানাজানি হয় গতকাল ভোরে।

নিহতের পিতা আব্দুল বাছির জানান, রোববার রাতের খাবার খেয়ে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পরে। আমার বড় ছেলে মাহিন তার নানাবাড়ি জকিনগর থাকায় আমি তুহিনসহ আমার ২ ছেলেকে নিয়ে এক বিছানায় ঘুমিয়েছিলাম। রাত তিনটার দিকে আমার ভাতিজি সাবিনা ঘরের দরজা খোলা দেখে ডাকাডাকি শুরু করে। আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি তুহিন বিছানায় নেই। খোঁজাখুজি করে বাড়ি থেকে কিছু দূরে মসজিদের পাশে একটি গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। জবাই করা লাশের পেটে দুটি ছুরি বিদ্ধ পাওয়া যায়। আমার ছেলের লিঙ্গ ও কান কেটে নিয়ে গেছে হত্যাকারীরা।

উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৌম্য চৌধুরী জানান, রোববার দিবাগত রাতে শিশুটি নিজ বাড়িতে বাবা-মায়ের সাথে ঘুমিয়ে ছিল। রাত ২টার দিকে হঠাৎ ঘুম ভেঙে বাবা-মা দেখেন তাদের সন্তান তুহিন নেই। খোঁজাখুঁজি করে রাত সাড়ে ৪টার দিকে বাড়ির সামনে একটি গাছের সঙ্গে শিশুটিকে ঝুঁলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। শিশুটির দুটি কান, লিঙ্গ ও গলা কেটে পেটে দুটি ছুরি ঢুকিয়ে রেখে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পরে দিরাই থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ সকালে ঘটনাস্থলে লাশের সুরতহাল তৈরি করে।

দিরাই থানার ওসির দায়িত্বে থাকা এসআই আবু তাহের মোল্লা ঘটনাস্থল থেকে জানান, লাশের সুরতহাল তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সুনামগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, ডিআইওওয়ান সুনামগঞ্জ আনোয়ার হোসেন মৃধা, ডিবির ওসি মুক্তাদির আহমদসহ সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের সদস্যরা।

সুনামগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, একই সঙ্গে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভগ (সিআইডি) ও ডিবি পুলিশ ঘটনা উদঘাটনে কাজ করছে। তিনি আরো জানান, ঘটনার কিছু ক্লু আমাদের হাতে এসেছে। তদন্তের স্বার্থে আমরা এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুর বাবা, চাচাসহ মোট ৭ জনকে থানায় নেয়া হয়েছে। আমরা ২/৩টি বিষয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আশাকরি আসামিদের গ্রেফতার করে দ্রæত আইনের আওতায় আনা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন