শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় নেপালি মুসলমান

প্রকাশের সময় : ১৮ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : বর্তমানে জাদুঘরে পরিণত নেপালে সাবেক রাজপ্রাসাদের খুব কাছেই কাঠমান্ডু জামে মসজিদ। এরই এক কোনায় রয়েছে বেগম হযরত মহলের মাজার, অতীতের জৌলুস হারানো নিতান্ত অবহেলিত এক সমাধিক্ষেত্র।
হযরত মহল ছিলেন ১৮৫৭ সালের ব্রিটিশবিরোধী সিপাহী বিদ্রোহের সূতিকাগার ভারতের তৎকালীন দেশীয় রাজ্য অযোধ্যার রানী। ব্রিটিশ শাসকদের হাতে বিদ্রোহ অবদমিত হওয়ার পরপরই তিনি ভারতের লক্ষেèৗ নগরী থেকে পালিয়ে যান। বিদ্রোহ দমনে এবং হযরত মহলের নিজ শহর ধ্বংস করতে ব্রিটিশ বাহিনীকে সাহায্য করেন তৎকালীন নেপালের শাসক জং বাহাদুর থাপা। তবে জং বাহাদুর রানীকে রাজনৈতিক আশ্রয়দানের প্রস্তাব দেন। হযরত মহলের সমর্থকরাও তার অনুগামী হয়ে নেপালে আসেন। তবে নেপালে ইসলামের আগমন ঘটেছে এরও অনেক আগে।
অতিপ্রাচীন কাল থেকে এ উপমহাদেশের সঙ্গে মুসলমানদের ব্যবসায়িক যোগাযোগ ছিল। অনেক মুসলিম পরিব্রাজক এসব এলাকা ঘুরে এ অঞ্চলের দেশগুলোর অবস্থা লিপিবদ্ধ করে গেছেন। ১৫ শতকের দিকে তৎকালীন নেপালের রাজা রত্ম মাল্লার আমলে কাশ্মীরি ব্যবসায়ীদের কাফেলা প্রথম কাঠমান্ডু হয়ে তিব্বতের রাজধানী লাসায় যাতায়াত শুরু করে। এদের অনেকেই তৎকালীন কান্তিপুর (বর্তমানে কাঠমান্ডু) ভক্তপুর ও ললিতপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কাঠমান্ডু রাজপ্রাসাদ থেকে মাত্র কয়েকশ’ গজ দূরে ৫শ’ বছরের প্রাচীন কাশ্মীরি তাকিয়া মসজিদটি এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে এই ঐতিহাসিক সত্যের সাক্ষী হিসেবে।


 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন