শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

হারিয়ে যাচ্ছে জাতীয় ফুল শাপলা

প্রাকৃতিক জলাভ‚মি ধ্বংসের ফল

রবিউল ইসলাম, কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

একসময় খাল-বিলে প্রচুর শাপলা ফুল দেখা যেত। লাল কিংবা সাদা শাপলা ফুল দেখে মুগ্ধ হন না, এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে শাপলা ফুল। আর তার সাথে সাথে বিপন্নের পথে জলাভ‚মির ফল ‘ঢ্যাপ’। শাপলার ফলকেই ‘ঢ্যাপ’ বলা হয়। কিছু কিছু আঞ্চলিক নামে ‘ভেট’ বলা হয়। একসময় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বিরাট একটা অংশ শাপলা ফুলের ডাঁটা তরকারি হিসেবে খেতেন। শুধু তাই নয়, এই ‘ঢ্যাপ’ আমাশয়, বদহজম এবং রক্ত আমাশয় নিরাময়ের জন্য বেশ কার্যকর বলেও জানা গেছে। কিন্তু ‘শাপলা ফুল’ বা ‘ঢ্যাপ’ প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। মাঝে মধ্যে আশাশুনি উপজেলার বাজারগুলোতে ‘ঢ্যাপ’ বিক্রি করতে দেখা যায়।
জানা গেছে, এ উপজেলায় একসময় অসংখ্য খাল-বিল ছিল। যেখানে এ ফুল পাওয়া যেত বেশি। এসব খাল-বিলে প্রচুর পরিমাণে শাপলা ফুল ফুটত। এতে পাওয়া যেত প্রচুর পরিমাণে ঢ্যাপ। কিন্তু আস্তে আস্তে ভরাট হয়ে যাচ্ছে বিল। তার সাথে সাথেই হারিয়ে যাচ্ছে শাপলা ফুল ও ঢ্যাপ। শাপলার ফল বা ঢ্যাপ দিয়ে চমৎকার সুস্বাদু খই ভাজা হয়। যেটি গ্রামগঞ্জের মানুষের কাছে ‘ঢ্যাপের খই’ নামে পরিচিত। এই ঢ্যাপের মধ্যে অসংখ্য বীজদানা থাকে। এসব বীজদানা রোদে শুকিয়ে চাল তৈরি করা হয়। ঢ্যাপের পুষ্টিকর চাল থেকে তৈরি করা খই ও মোয়া অত্যন্ত সুস্বাদু। খাল-বিল বিলীন ও জমিতে অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক জলাভ‚মিগুলো ধ্বংসই এ সুস্বাদু ঢ্যাপ বিলুপ্ত হচ্ছে বলে উপজেলার অনেকেই মনে করেন। কৃষক আহম্মদ আলী বলেন, যখন অভাব দেখা দিত, তখন আমরা শাপলার ঢ্যাপ দিয়ে ভাত ও খই বানিয়ে খেতাম। কিন্তু এখন তো এইগুলো দেখাই যায় না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন