সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা :
সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া ইউপির উত্তর বটগ্রামে সন্ত্রাসীদের গুলিতে কলেজ ছাত্র শান্ত (২২) নিহত ও ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থল থেকে যৌথবাহিনী দেশীয় তৈরী দুটি পাইপগান, অস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরীর সরঞ্জামসহ একটি পালচার হুন্ডা উদ্ধার করে। এ বিষয়ে থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার স্থানীয় শীর্ষ সন্ত্রাসী মানিক বাহিনীর সদস্য ও পূর্ব আবিরপাড়া গ্রামের জাফর আহম্মদের ছেলে শাহেদ (২২) নিহত শান্তর ভাই শাহাদাত হোসেন শাওনকে মারধর করে তার নিকট থেকে একটি মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় উভয় গ্রামের সালিশদারদের মধ্যে মীমাংসার কথা থাকলেও সন্ত্রাসী শাহেদ বাহিনী সালিশদারদের বৈঠক প্রত্যাখ্যান করে একই দিন রাত ৯টায় ককটেল ও বোমা ফাটিয়ে বটগ্রামে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরদিন বৃহস্পতিবার শাহেদ, শান্ত, তুহিনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী রাত ৮টার সময় নিহত শান্তর চাচাতো ভাই মিজানুর রহমানের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ঘর বাড়ি ও সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তারাবির নামাজ শেষে এলাকাবাসী জড়ো হলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। দ্বিতীয় দফায় রাত ১২টার সময় সন্ত্রাসী শাহেদ গ্রুপের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে বৃষ্টির মতো গুলি ছুড়ে। এ সময় নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র ও উত্তর বটগ্রাম হাজী মন্নান সাহেবের বাড়ীর মাস্টার সাহাব উদ্দিনের ছেলে আসিফ উদ্দিন শান্ত (২২) গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয় ও ৪ জন গুলিবদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধরা হলো সামছুল আলম (২৫), মোহন (২২), আজাদ (২৮), মনির (২২)। নোয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সেখানে র্যাবসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী হানিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন