কর্পোরেট রিপোর্ট : অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অবকাঠামো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর প্রবৃদ্ধি চাঙ্গা রাখতে হলে পুরো বিশ্বেই অবকাঠামো খাতে ব্যয় আরো বাড়ানো প্রয়োজন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতির অনেক দেশই এ খাতে ব্যয় বৃদ্ধির পরিবর্তে কমিয়ে আনছে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ম্যাককিনজি গেøাবাল ইনস্টিটিউটের নতুন এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। বিশ্বে প্রতিনিয়তই ভ্রমণ ও পণ্য সরবরাহ বেড়ে চলেছে। এ দুটি খাতে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে হলে চলতি বছর থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে অবকাঠামো খাতে বৈশ্বিক উৎপাদনের দশমিক ৪ শতাংশ বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। অর্থাৎ প্রতি বছর আরো অতিরিক্ত ৩৫ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এ প্রতিবেদনে অবকাঠামো খাত বলতে পরিবহন, বিদ্যুৎ, পানি ও টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোকে বুঝিয়েছে। তবে ম্যাককিনজি যে পরিমাণ বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছে, তা পূরণ করা রীতিমতো কঠিন ব্যাপার হয়ে উঠবে। কারণ এমন একসময়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশ হলো, যখন কিনা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশগুলো অবকাঠামো ব্যয় থেকে পিছু হটছে। শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতির জোট জি২০ অনেক সদস্যই বৈশ্বিক অর্থমন্দার পর অবকাঠামো খাতে বিপুল পরিমাণ ব্যয় করেছিল; এখন তারা এ ব্যয় কমিয়ে আনছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উত্পাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অবকাঠামো খাতে ব্যয় বাড়াতে আন্তর্জাতিক মহল থেকে বারবার আহ্বান এলেও তাতে সাড়া দেয়নি এসব দেশ। এক্ষেত্রে কয়েকটি দেশের উদাহরণ উল্লেখ করা হয়েছে ম্যাককিনজির প্রতিবেদনে। সেখানে দেখা গেছে, ২০১৪ সালে অবকাঠামো খাতে জিডিপির ৩ দশমিক ২ শতাংশ ব্যয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র; যা ২০০৯ সালের ৪ দশমিক ২ শতাংশের তুলনায় কম। অন্যদিকে একই সময়ে ইউরোঅঞ্চলে অবকাঠামো খাতে ব্যয় ৩ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে ২ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে। এছাড়া অবকাঠামো খাতে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ ২০০৯ সালে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ হলেও ২০১৪ সালে তা ২ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছে। সব মিলিয়ে বিভিন্ন দেশ অবকাঠামো খাতে গড়ে জিডিপির ৩ দশমিক ৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় করে থাকে। কোনো কোনো দেশ আবার অবকাঠামো খাতে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ব্যয় করে ফেলে। যেমন চীন। কয়েক বছর ধরে দেশটিতে অবকাঠামো নির্মাণের রীতিমতো উৎসব লক্ষ করা গেছে। ২০০৮ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে জিডিপির ৮ দশমিক ৮ শতাংশ অবকাঠামো খাতে ব্যয় করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন