রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

দেশে দেশে মাহে রমজান ব্রাজিলের মুসলমানদের রোজা পালন

প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মাহে রমজান আত্মশুদ্ধির একটি সুবর্ণ সুযোগ। জীবনের ছোট-বড় সকল গুনাহ থেকে নিজেকে মুক্ত করার বরকতময় এ মাস। শরীর ও মনকে পবিত্র করতে রোজা একটি মাধ্যম। রমজান মাস মুসলিম বিশ্বের ঘরে রহমত মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে প্রতি বছর হাজির হয়।
আমেরিকা মহাদেশের ব্রাজিলে প্রায় ১০ লাখ মুসলমানের বসবাস। বেশিরভাগই আরব এবং আফ্রিকান দেশগুলো থেকে অভিবাসনে যাওয়া। ব্রাজিলে ইসলামের আগমন ঘটে সম্ভবত ১৫০০ শতাব্দীর পরে দাসদের হাত ধরে। ব্রাজিল তখন পর্তুগালের কলোনি, পর্তুগিজ ডাকাতদের লাটসাহেবি চলত সেখানে। পর্তুগিজরা আফ্রিকান বিভিন্ন দেশ থেকে নিগ্রোদের ধরে আনত ব্রাজিলে আখ চাষের জন্য। এসব দাসদের মধ্যে ছিলেন বহু পশ্চিম আফ্রিকান মুসলিম নিগ্রো। পরে দাসদের মাঝে আফ্রিকান মুসলিমরাই শুরু করেন দাওয়াতি কাজ। ইসলামের সাম্যের বাণী ঢেউ তোলে দাস সমাজে। গড়ে ওঠে একতা এবং ১৮০০ শতাব্দীর শেষদিকে ব্রাজিলের প্রথম বড় দাস বিদ্রোহ এবং আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল মুসলমানরা এমনই জানা যায় অনেক সূত্রে। ১৯০০ সালের শুরুতেও ব্রাজিলের মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ১ লাখ মত। এরপর ধীরে ধীরে গত শতাব্দীর শেষ দিকের বিভিন্ন সময় লেবানন-সিরিয়া-জর্ডান এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের মুসলমানরাও কেউ কেউ পাড়ি জমান দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশে। রিও ডি জেনরিওতে মুসলিমদের ইসলামিক সেন্টার এবং বড় মসজিদ আছে কয়েকটা। আমাজানের দেশে রাজধানী ছাড়া অন্য দুটি শহরে মূলত মুসলিম কম্যুনিটি চোখে পড়ে। সাও পাওলো এবং পারানা। রমজানে তাই পরিবর্তন চোখে পড়ে ব্রাজিলের রাজধানী ও বড় এই দুই শহরসহ গোটা দেশের মুসলিম কম্যুনিটিগুলোতে। রমজান মাস এলে এখানকার মুসলমানগণ একসাথে মিলেমিশে ধর্মীয় কাজগুলো পালন করেন। নারী-পুরুষ সকলে নিয়মমত মসজিদে নামাজ আদায় করেন। ছবিতে সাও পাওলোতে মসজিদে মুসল্লিদের রমজানে নামায আদায় করতে দেখা যাচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন