পৃথক স্থানে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ৪ ডাকাত নিহতের খবর পাওয়া গেছে। সীতাকু-ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কুমিরা এলাকায় র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে আন্ত:জেলা ডাকাত দলের তিন সদস্য নিহত হয়েছে। অন্যদিকে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পাইকপাড়ায় পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছে অজ্ঞাত ডাকাত সর্দার।
সীতাকু- চট্টগ্রাম (উপজেলা) সংবাদদাতা জানান : কুমিরা ইউনিয়নের বাইপাস সেতু এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। সোমবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে নিহত ডাকাতদের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
নিহত তিনজনেই আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য ও কুমিরায় চাঞ্চল্যকর শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শাহ আলম হত্যা মামলার আসামি বলে ধারণা পুলিশের। রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড়কুমিরায় একটি র্যাবের টহল দলের সাথে গুলিবিনিময় হয়। এ ঘটনায় নিহতদের কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তলও ১২টি গুলি এবং বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেন বলে দাবী র্যাবের।
এ বিষয়ে র্যাব-৭ এর উপ-অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়াত জামিল ফাহিম বলেন, আমাদের একটি দল মহাসড়ক হয়ে সীতাকু- যাওয়ার উদ্দেশ্যে কুমিরা সেতু এলাকা অতিক্রম করছিল। এ সময় আগে থেকে ওৎপেতে থাকা একদল ডাকাত তাদের গাড়িকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে এবং ডাকাতির চেষ্টা চালায়। এ সময় র্যাব ও ডাকাতদের মধ্যে গুলিবিনিম হলে তিনজন ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পরে সীতাকু- থানা পুলিশ ঘটনার খবর পেয়ে ডাকাত তিনজনকে উদ্ধার করে সীতাকু- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
সীতাকু- মডেল থানার এসআই মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা র্যাব থেকে খবর পেয়ে কুমিরা বাইপাস সেতু মহাসড়কের উপর থেকে রাত সাড়ে তিনটার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজন ও সেতুর নিচ থেকে আরো দুজন ডাকাতকে উদ্ধার করে সীতাকু- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের তিনজনকেই মৃতবলে ঘোষণা করে। তাদের আনুমানিক বয়স ২৫/৩০ বছরের মধ্যে হবে স্টাফ রিপোটার, চাঁদপুর থেকে জানায় : চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পাইকপাড়ায় পুলিশের ক্রসফায়ারে অজ্ঞাত ডাকাত সর্দার নিহত হয়েছে। গত সোমবার দিবাগত রাত অনুমান আড়াইটায় ৮নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের জনৈক চেরাগ আলীর বাগানে ডাকাতদলের প্র¯ুÍতির খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযান টের পেয়ে ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছুড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এতে ডাকাত দলের অন্যান্য সদস্যরা পালিয়ে গেলেও অজ্ঞাত এক ডাকাতকে আহতাবস্থায় আটক করে পুলিশ। ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার আহত ওই ডাকাতকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানার এএসআই মঞ্জুরুল আলমসহ ২ কনেস্টবল আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দেশীয় তৈরী একটি পুরাতন পাইপগান, একটি চাইনিজ কড়–াল, একটি তলোয়ার, একটি চাপাতি, একটি এমএম পাইপান উদ্ধার করেছে। ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুদ্দিন জানান, গত কয়েক দিন ধরে ফরিদগঞ্জের পাইকপাড়া ইউনিয়নে বিভিন্ন বাড়ীতে ডাকাতি ও নেশাদ্রব্য স্প্রে করে চুরির ঘটনা বেড়ে গিয়েছিল।
সোমবার রাতে পুলিশ বিভিন্ন ইউনিয়নে এক যোগে অভিযানে নামে এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডাকাতদলকে ঘিরে ফেললে তারা পুলিশকে গুলি ছোঁড়ে। ফরিদগঞ্জ হাসপাতালে নেয়ার পথে ওই ডাকাত মারা যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন