শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বুয়েটে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত

ফের কঠোর হুঁশিয়ারি আন্দোলনের

বিশ^বিদ্যালয় রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার হত্যার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের ক্লাস, পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ১০ দফা দাবি আদায়ে ফের কঠোর অবস্থানে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। গতকাল মঙ্গলবার বেলা চারটায় বুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এসব কথা বলেন আন্দোলনকারীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বুয়েট শিক্ষার্থী মাহমুদ রহমান সায়েম ও অন্তরা তিথি। তারা বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ের কর্মসূচি তুলে নেয়ার ১৩ তম দিন আজ চলছে। আমরা চাই প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে বুয়েটের কল্যাণের নিমিত্তে আমাদের দাবিগুলো সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করবে। আমরা চাইনা প্রশাসনে থাকা দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ পারস্পরিক দোষারোপ করে কাজের গতি স্থবির করে দিক। প্রশাসন সদিচ্ছা পোষণ করলেও তাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা এখনও রয়ে গেছে।’

তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘সময় ইতিমধ্যে অনেক গড়িয়েছে, প্রশাসন তৎপর হলে এই সময়ের মধ্যে আরও অনেক অগ্রগতি প্রদর্শন করতে পারত। প্রয়োজনে আমরা সকল সাধারণ শিক্ষার্থী উপাচার্য স্যারের সঙ্গে আবারও আলোচনায় বসতে তৈরি আছি। প্রশাসন তৎপর না হলে আমরা কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হব।’
শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের আন্দোলন আবরার হত্যার বিচার নিয়ে এবং যেসব বিষয়ের জন্য এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে ক্যাম্পাস থেকে সেসব অপসারণ করার জন্য। তারা আবরার হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল ও সেখানে অভিযুক্তদের বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে না ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যদিকে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ বুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে অটল রয়েছে।

চলতি বছরের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। এরপর হত্যার বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের পর ১১ অক্টোবর ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন বুয়েটের ভিসি প্রফেসর সাইফুল ইসলাম। শিক্ষার্থীরা তাদের সব দাবি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়ার শর্তে ১৪ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে আন্দোলন শিথিল করেন। পরে ১৬ অক্টোবর বুয়েট মিলনায়তনে গণশপথের মধ্য দিয়ে মাঠের আন্দোলনের সমাপ্তি টানেন। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা না গেলে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করার ঘোষনা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন