দেশে দেশে মাহে রমজান
ইনকিলাব ডেস্ক : পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু কাবাঘর ইসলাম ধর্মের তীর্থস্থান, বিশ^নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মভূমি ও তার রওজা শরীফ মক্কা-মদীনায় হওয়ায় বিশ^ মুসলিমের কাছে সউদী আরব খুব বেশি জনপ্রিয় আর গুরুত্বপূর্ণ। এ দেশে রমজান মাস পালনে প্রায় দুই মাস আগে থেকে প্রস্তুতি চলে। অন্যান্য দেশে যখন রমজান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্যের দাম হয় আকাশছোঁয়া, তখন নবীর দেশে রমজান উপলক্ষে থাকে বিভিন্ন কোম্পানির বিশেষ ছাড়। একই সাথে দরিদ্রদের জন্যে থাকে বাদশার পক্ষ থেকে তেল-চিনি-দুধসহ হরেক রকমের রমজানের উপহার।
রমজান এলেই শুরু হয় ইসলাম ধর্মের চিরকল্যাণকর বাণী প্রচারের ব্যাপক আয়োজন। বিভিন্নভাবে মানুষ নিজেকে দাওয়াতি কাজে নিয়োজিত করে। কুরআন ও হাদিসের মহিমান্বিত বাণী সম্বলিত হ্যান্ডবিল, লিফলেট, বই, ছোট কার্ড ছাপিয়ে মসজিদে মসজিদে বিতরণ করা হয়। এসব কাজে বড় বড় ব্যবসায়ী থেকে একেবারে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত অংশগ্রহণ করে থাকে। রোজাদারদের ইফতার করানোর জন্য রাস্তার পাশে কিংবা বাজার-মার্কেটে তৈরি করা হয় সারি সারি তাঁবু। যেখানে থাকে খেজুর, বোতলজাত পানি, জুস, মাঠা, ফল, কফি, চিকেন বিরিয়ানি, ঘরোয়া খাবার ইত্যাদি। এছাড়া মসজিদেও ইফতারির ব্যবস্থা থাকে। তাই এ মাসে প্রবাসী শ্রমিকদের ইফতার ও সাহারী কিনে খেতে হয় না।
প্রথম রোজা থেকেই মানুষ কাজ শুরু করে জোহরের নামাজের থেকে। সাহারী পর্যন্ত কাজ করে ফজরের নামাজের পরে ঘুমাতে যায়। স্কুলে সংক্ষিপ্ত সময় অনুসরণ করে। বিকালে অফিস-আদালত খোলে, আর দোকানপাট ও রেস্তোরাঁ সূর্যাস্তের পর খুলে রাত দুটো পর্যন্ত খোলা থাকতে পারে। সকালে জনশূন্য পথঘাট বিকালে ভরে উঠতে শুরু করে।
সউদীদের ইফতারে কুনাফা, তুরুম্বা, বাসবুচা জাতীয় হালুয়ার আইটেম থাকে বেশি। থাকে সাম্বুচা নামে গোশতের কিমা ভরা সমুচার মতো একটি খাবার। আর থাকে সালাদ, স্যুপ, পনির, লাবান, নানরুটি, সিম। ঘরে হোক বা বাইরে, সবাই মিলে একসাথে ইফতার করতে ভালোবাসে সউদিরা। সাহরীতে তাদের সাধারণত ভাত, রুটি আর গোশত থাকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন