কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে বলে জানা গেছে। নিহত সীমা আক্তার (২৫) তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ মিয়ার মেয়ে এবং জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মিন্টু মিয়ার স্ত্রী। তার ছয় বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের সীমার খালা লাকি আক্তার জানান, বুধবার দুপুরে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে প্রসূতি সীমাকে নিয়ে গেলে ডাক্তার আসবে বলে আমাদের ৪/৫ঘণ্টা বসাইয়া রাখে। বুধবার সন্ধ্যায় সেলাইন দেয়ার পর রতœা ডাক্তার এসে আমার ভাগ্নির শরীল ঠান্ডা দেখে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে দেয় এবং দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যেতে বলে। অ্যাম্বুলেন্সে উঠানোর পর আমার বোনের মেয়ে(ভাগ্নি) মারা যায়। এ নিয়ে ওই হাসপাতালে রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করলে হট্টগোল শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে এবং অবহেলার অভিযোগে হাসপাতালের ম্যানেজার সুমনকে আটক করে।
ডাক্তার সিফাত হোসেন রতœা বলেন, এখানে আমাদের অবহেলার কোন কিছুই নেই। কারণ গত বুধবার আমরাতো রোগীকে কোন চিকিৎসাই দেয়নি। কেননা সীমা নামের এই রোগীর শারীরিক অবস্থা ভালো ছিলো না। সিজারিয়ান করার মত অবস্থা ছিলো না তার। গত ১৯ অক্টোবর প্রসূতি সীমা আক্তারের শারীরিক অবস্থা দেখে ওই দিনই রোগীকে ঢাকা অথবা কুমিল্লায় নিয়ে সিজার অপারেশন করার প্রেসকিপশন দিয়েছি। তারপরও তারা ঢাকায় না গিয়ে ১০ দিন পর আবার এখানে নিয়ে আসে। আমি বলবো এ মৃত্যুর জন্য চিকিৎসকদের অবহেলার অভিযোগ ঠিক নয়, কারণ পরিবারের লোকজনের গাফলতি এখানে অনেকটাই দায়ী।
দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ইচ্ছাকৃত হোক আর অনিচ্ছাকৃত হোক বা যে কারনেই হোক প্রসূতির মৃত্যুতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা বলে আপাতত প্রতীয়মান হওয়ায় ম্যানেজার সুমনকে গ্রেফতার করেছি। ময়নাতদন্তের পর সঠিক কারণ নির্নয়ের মাধ্যমে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন