বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বঙ্গবন্ধু-প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃতি, অভিযোগ প্রমাণ হলে ছাড় দেয়া হবে না

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ নভেম্বর, ২০১৯, ৪:৩৪ পিএম

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ২০১৮ সালের ডেস্ক ক্যালেন্ডারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিতে এবং চলতি বছরের (২০১৯) ডেস্ক ক্যালেন্ডারে জাতির পিতা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিকৃত করার বিষয়ে যবিপ্রবির ভিসি, রেজিস্ট্রার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা হাইকোর্টে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।


তাদের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করার পর আদালত এ বিষয়ে আগামী ২০ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। একই সঙ্গে তাদের সতর্ক করে আদালত বলেছেন, ‘অভিযোগ প্রমাণ হলে ছাড় দেয়া হবে না।’ 

সোমবার (৪ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান। যবিপ্রবির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কে এম সাইফুদ্দিন আহমেদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

উপাচার্যের আইনজীবী কে এম সাইফুদ্দিন আহমেদ জানান, উপাচার্যসহ তিনজন আদালতে উপস্থিত হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। 

উপাচার্য ড. অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ছবি বিকৃতির ঘটনা ঘটেনি। অন্য কেউ ডেস্ক ক্যালেন্ডারে ছবি বিকৃতির দায় চাপাতে চাচ্ছে। রিট আবেদনকারী আনোয়ার হোসেন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ছবি বিকৃতির অভিযোগ এনেছেন, যা ভিত্তিহীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের লাঞ্ছিত করার দায়ে এর আগে তাকে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।’

গত ১৫ অক্টোবর এ আইনজীবী জানিয়েছিলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এর প্রমাণ মিলেছে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের দায় এড়াতে পারেন না বলে মন্তব্য করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালের ডেস্ক ক্যালেন্ডারে জাতির পিতার ছবি এবং ২০১৯ সালের ডেস্ক ক্যালেন্ডারে জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করা হয়নি। এছাড়া ২০১৮ সালের ক্যালেন্ডারে জাতির পিতার ছবির ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির নাম লেখাও সমীচীন হয়নি।

বলা হয়, ২০১৯ সালের ডেস্ক ক্যালেন্ডার পুনঃমুদ্রিত। আগের (প্রথম) প্রিন্ট করা কপিতে জাতির পিতার ছবি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছিদ্র করে স্পাইরাল বাইন্ডিং করা হয়। এছাড়া জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি (ছবির মাথা কেটে) বিকৃত করা হয়, যা প্রথম মুদ্রিত ডেস্ক ক্যালেন্ডার থেকে স্পষ্টতই প্রমাণ পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ছিল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ দায়িত্বপ্রাপ্তরা তা করেননি। এ ক্ষেত্রে কোনোভাবেই তারা দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। তাদের ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ছিল।
 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন