শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নিত্যপণ্যের মূল্য রমজানে স্বাভাবিক রয়েছে -সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, এবারের রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ও সরবরাহ পরিস্থিতি যৌক্তিক ও স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি বলেন, চিনি ও ছোলাসহ কয়েকটি পণ্যের আমদানি নির্ভরতার কারণে ও আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধির কারণে দেশীয় বাজারে মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গতকাল (সোমবার) জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণ তথা দ্রব্যসামাগ্রীর মূল্য স্থিতিশীল ও যৌক্তিক রাখার লক্ষ্যে সারা বছর ধরে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে আসছে। সরকার রমজান মাসেও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সাধারণ জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং সেই অনুযায়ী যথোপযুক্ত কার্যক্রম গ্রহণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব খাতে ‘দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূবার্ভাস সেল’ গঠন করা হয়েছে। এই সেল আন্তর্জাতিক ও দেশীয় উৎপাদন প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ ও পরিবীক্ষণ করে। এছাড়া, এই সেল বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন, টিসিবি এবং কৃষি বিপণন অধিদফতর থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে আমদানির তথ্যাদি ও ঋণপত্র নিষ্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি, বন্দরসমূহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক পরামর্শ ও নির্দেশনা প্রদান করে এবং করণীয় নির্ধারণ করে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঢাকা মহানগরীতে ১৪টি বাজার মনিটরিং টিম নিয়োজিত রয়েছে। প্রতিদিন ২টি করে টিম মোট ৬টি বাজার পরিদর্শন করে থাকে। এই টিমসমূহ অপরাধ সংঘটিত হলে প্রয়োজনে জরিমানাসহ অন্যান্য শাস্তি আরোপ করে থাকে। দেশে বাণিজ্য ঘাটতি কমছে।
বাণিজ্য ঘাটতি কমছে
নুরুন্নবী চৌধুরীর টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, প্রতিবছরই রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বাণিজ্য ঘাটতি কমছে। বর্তমানে বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস লক্ষণীয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, প্রতিবছরই রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। রপ্তানি বাণিজ্যে গতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে। বিগত কয়েক অর্থ বছরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ২০১০-১১ অর্থ বছরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৯২৪ দশমিক ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৩১ হাজার ২০৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ঘটতির পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ৫০৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ঘাটতির পরিমাণ ৯ হাজার ৭২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
মন্ত্রী জানান, চলতি অর্থ বছরে (২০১৫-১৬) অর্থ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ২৩৯ দশমিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। একই সময়ে গত অর্থ বছরে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৫৬১ দশমিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সরকার দলীয় নিজাম উদ্দিন হাজারীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, চলতি অর্থ বছরের ১ জুলাই হতে মে ২০১৬ পর্যন্ত সময়ে ৩০ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে।
এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে শাকসবজি বর্হিবিশ্বে রপ্তানি করা হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত এই খাতে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ৮৭ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
গাজী ম ম আমজাদ হোসেন মিলনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের হিসাব অনুযায়ী সার্কভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে ভুটান, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকার সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। আফগানিস্তান, মালদ্বীপ ও নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক অনুকূলে রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন