শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সবাই ছুটছে আশ্রয়কেন্দ্রে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছেন উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা। গতকাল সকালে উপক‚লীয় এলাকার লোকজনকে সরাতে জেলা- উপজেলা প্রশাসন, রেডক্রিসেন্ট একযোগে জেলা ও নগরের উপক‚লীয় এলাকায় মাইকিং কার্যক্রম চালায়। প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় উপকূলীয় এলাকার লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটতে শুরু করেন। সাথে নিয়ে আসছেন গবাদিপশু ও হাঁস মুরগী। এ সকল কেন্দ্র প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিকেল টিম। কিছু এলাকায় মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনীহা প্রকাশ করছে বলে জানা গেছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বাধ্য করছে। আমাদের বরিশাল ব্যুরো প্রধান নাছিম উল আলম, খুলন্ াব্যুরো প্রধান আবু হেনা মুক্তিসহ জেলা ও উপজেলা সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত :

বরিশাল : বুলবুলে আতঙ্কিত উপকুলের কোটি মানুষ। বন্ধ সব ধরনের নৌ-যোগাযোগ। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ‘ঘূণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি’র প্রায় ৫৫ হাজার নারী-পুরুষ সেচ্ছাসেবক উপকূলের ১৩টি জেলার ৪১টি উপজেলায় সাড়ে ৩ শতাধিক ইউনিয়নে কাজ করছে। গতকাল সকাল থেকে উপকুলের প্রায় ৫হাজার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লক্ষাধিক নারী-পুরুষ শিশুকে সরিয়ে নেয়া হয়। দুপুর ৩টা পর্যন্ত প্রায় ৩লাখ নারীপুরষ ও শিশুকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। সন্ধার মধ্যে আরো অন্তত ২লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার লক্ষে কাজ করছে বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশসহ সিপিপি’র সেচ্ছাসেবকরা।

এদিকে, বুলবুল-এর আঘাত থেকে বন্দর ও নৌযানসমুহ রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে খুলনা শিপইয়ার্ড ও পায়রা বন্দর কতৃপক্ষ। সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যেও খুলনা শিপইয়ার্ড কতৃপক্ষ গত শুক্রবার ও গতকাল দিনরাত কাজ করে নৌ নির্মাণ কারখানাটির ¯øীপওয়ে ও ফেব্রিকেসন শেডসহ বার্থিং-এ থাকা সব নৌযান ও নৌস্থাপনা সমুহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। শিপইয়ার্ড-এর উর্ধতন কর্মকর্তারা যেকোন পরিস্থিতিতে ইয়ার্ডটির সব ধরনের নৌযান ও নৌ স্থাপনাসমুহের নিরাপত্তা রক্ষায় দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।

খুলনা : ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে খুলনার ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে গতকাল শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত ১ লাখ ৭৫ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। সন্ধ্যার কিছুটা আগে বাতাস শুরু হলে লোকজন আতঙ্কিত হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা শুরু করেন। সন্ধ্যার পর লোকজন ছোটাছুটি করে যে যার মত ঘরের আসবাবপত্র, বিছানা-বালিশ, হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু নিয়ে পার্শ্ববর্তী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটতে শুরু করেন। তবে কেউ কেউ দুপুরের পর আসেন।
এদিকে দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকা খুলনার কয়রা-দাকোপ, সাতক্ষীরার শ্যামনগর-আশাশুনি ও বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় তিন জেলা খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় প্রায় ৫০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। বুলবুলের প্রভাবে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

কক্সবাজার : বুলবুলের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাড়ে ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও ৫৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র। এছাড়া, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন সংস্থার সাড়ে চার হাজার কর্মী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যে কোনও কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে।

যশোর : দক্ষিণ-পশ্চিমের উপক‚ল অঞ্চল সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতের আশঙ্কায় ব্যাপক প্রস্ততি গহণ করা হয়েছে। কৃষি, ত্রাণ, স্বাস্থ্যসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। ঢাকা থেকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধানরা ঘন্টায় ঘন্টায় মাঠপর্যায়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন।সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও নড়াইলের জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বুলবুল মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে।

ঝালকাঠি : দুপুরের পর থেকে নদী তীরের বাসিন্দারা আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়া শুরু করেন। অনেকে গবাদিপশুও নিয়ে এসেছেন আশ্রয় কেন্দ্রে। জেলায় ৫টি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। অতি ঝুঁকিপূর্ণ জেলার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার খবরে জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সুগন্ধা ও বিষখালীসহ অন্যান্য নদ-নদী পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লার সকল রুটে নৌযান চলালচ বন্ধ রাখা হয়েছে।

ল²ীপুর : বুলবুলের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় জেলায় ১০০টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৬৬টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। জেলার সব সরকারি চাকরিজীবীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপার র্কাযালয়ে দুইটি কন্ট্রোল রুম ও উপজেলা পর্যায়ে চারটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। দুর্যোগ পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ৪৫০ মেট্র্কি টন চাল, ১১ লাখ নগদ টাকা ও ৫৯৬ বান্ডেল টেউটিন রাখা হয়েছে।

পটুয়াখালী : গতকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জন দুর্গম এলাকার ৬৮৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে মোট ৪ লাখ ৫৯ হাজার জেলার ৮৬৭ জন আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোর চেষ্টা করা হলেও অধিকাংশ লোকজনই আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে কিছুটা অনীহা প্রকাশ করছে।

ভোলা : ভোলায় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আসতে শুরু করেছে মানুষ। গবাদিপশু রক্ষায় ৩৯টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি ও গুরুত্বের কথা জানালেন জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক। এদিকে ইলিশায় পুরাতন বেড়িবাঁধ কেটে ফেলায় আতঙ্কে রয়েছেন ইলিশা মেঘনা পাড়ের কয়েক হাজার মানুষ। খুলে দেওয়া হয়েছে ৬৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র। গঠন করা হয়েছ ৯২টি মেডিক্যাল টিম। এছাড়াও জেলা সদরসহ সাত উপজেলায় ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। মানুষকে সতর্ক করতে মাইকিংসহ বিভিন্নভাবে উপক‚লে চলছে প্রচারণা।

পটুয়াখালী : ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতের হাত থেকে রক্ষা পতে পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে সকল ধরনরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছেন বন্দরের সুপারেনটেনডেন্ট লাইট এন্ড মোরিং এস,এম ইমতিয়াজ। তিনি জানান,বন্দরের চ্যানেলে ড্রেজিং কাজে ৪ টি বড় ড্রেজার এবং ১ টি কেরিয়ার জাহাজ ছিল সেগুলিকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও বন্দরের নিজস্ব বোটগুলিকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বন্দরের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে ।

সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা উপক‚লে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমানো ও জানমালের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, নৌ বাহিনী ও কোস্ট গার্ডের সাথে সেনাবাহিনীও উপক‚লীয় এলাকায় শনিবার রাত থেকেই কাজ শুরু করেছে।

এদিকে, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী গতকাল বিকাল ৫টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা উপক‚লের এক লাখ ২ হাজার মানুষকে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল সার্বিক পরিস্থিতি তদারকির মাধ্যমে দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা ও পদ্মপুকুরের মানুষকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে বহনের জন্য চারটি বাস ও অন্যান্য যানবাহন নিয়োজিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আতঙ্কে রয়েছেন সাতক্ষীরার লক্ষাধিক মানুষ। উপকূল জুড়ে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় তাদের মধ্যে এ আতঙ্ক আরো তীব্র হয়েছে।

আশাশুনি (সাতক্ষীরা) : আশাশুনিতে আশ্রয় শিবির ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩০ সহস্রাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ২৭ টি সাইক্লোন শেল্টার এবং ৮১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করেছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের পাউবো’র বেড়ী বাঁধ চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।

বামনা(বরগুনা) : ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে আতঙ্ক বিরাজ করছে বরগুনার বামনা উপজেলার নদী তীরের বাসিন্ধাদের মধ্যে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বুলবুল মোকাবিলায় এ উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ২৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। এছাড়াও ৬৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখা হয়েছে। ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) : উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১৯ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জন সাধারণকে নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণ করার জন্য মসজিদে মসজিদে চলছে মাইকিং।

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) : পয়রা বন্দরসহ তৎসংলগ্ন এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকতে জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, পটুয়াখালী জেলায় দূর্যোগাক্রান্তদের আশ্রয় নেওয়ার জন্য ৪০৩টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

লালপুর (নাটোর) : ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে শুক্রবার বিকেলে থেকে নাটোরের লালপুরের আকাশ কালোমেঘে ঢেকে এসে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয় উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলিতে ছুটি ঘোষনা করা হয়।

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় ১৫ টি ইউনিটে সিপিপির মোট ১২৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তত রয়েছেন। জানা গেছে, উপজেলার ৫৮টি সাইক্লোন শেল্টারে দুপুর থেকে আতঙ্কিত হয়ে মানুষ আশ্রয় নিচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিএম সরফরাজ ্এর তত্বাবধানে সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকরা বলেশ^র নদের মাঝের চরের ১২০০ জেলে পরিবার সদস্যদের অর্ধেক মানুষকে মাঝের চর ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়েছেন। বলেশ্বর নদ তীরের বড়মাছুয়ায় সেনাবাহিনী নির্মিত ঘূণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে দুপুরের দিকে ২ শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

মংলা : ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে মংলা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। বন্দরের অবস্থানরত ১৪টি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য খালাস-বোঝাই কাজ বন্ধ রয়েছে। ১০ নম্বর বিপদ সংকেত হওয়ায় পশুর নদী ও মংলা নদীতে সকল নৌযান নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে বন্দরে নিজস্ব বিশেষ সতর্কতা ‘এলাট-৪’ এখনও বলবত আছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। পৌরসভাসহ সকল ইউনিয়নের ৭৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে রাখা হয়েছে এবং সকল এলাকায় পাকা স্থাপনা ও স্কুল, কলেজ, মাদরাসার ভবনগুলো মানুষের আশ্রয়ের জন্য প্রস্তুত রখেছে উপজেলা প্রসাশন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নাহিদুজ্জামান জানান, পৌরসভায় ২৯টি ও ইউনিয়ন পরিষদে ৫৫টি মিলে এ উপজেলার মোট ৮৪টি সাইক্লোন শেল্টার দুর্গতদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে প্রায় ৪০ হাজার দুর্গত মানুষ নিরাপদ আশ্রয় নিতে পারবে।

নাজিরপুর (পিরোজপুর) : পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাব দেখা দিয়েছে। সকাল থেকেই এ উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে এমন ১৮ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তালিকা মাইকিং এর মাধ্যমে ঘোষণা করেছেন। তবে নাজিরপুর সদর থেকে ১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ৬৭ নং পূর্ব কাঠালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারে গিয়ে দেখা যায় জনসাধারণ নিরাপদে রাত্রীযাপন করার জন্য তাদের কাঁথা, বালিশ ও শুকনা খাবারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে অবস্থান করেছে।

নেছারাবাদ(পিরোজপুর) : নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউনও) সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু জানিয়েছেন, বুলবুল মোকাবেলায় এখানে ৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র ও মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ঘূর্নিঝড় মোকাবেলায় ইতোমধ্য একটি আগাম প্রস্তুতিসভা করা হয়েছে। মানুষকে নিরাপদে নেয়ার জন্য আশ্রয়কেন্দ্রসহ উপজেলার স্কুল কলেজ খোলা রাখতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সার্বক্ষনিক তারা বন্যার আপডেটের খবর রেখে মানুষকে সচেতন বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন।

রাজাপুর ( ঝালকাঠি) : রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউনও) মো. সোহাগ হাওলাদার জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় এখানে ১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র ও মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন