স্টাফ রিপোর্টার : ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদে বসে ইজ্জত আব্রু সবই গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ১৪ দলীয় জোটের নেতা জাসদ একাংশের কার্যকরী সভাপতি মঈনউদ্দীন খান বাদল এমপি। তিনি বলেছেন, এই সংসদে বসে ইজ্জত আব্রু সবই গেছে। মন্ত্রিত্বের লোভে দুটি পার্টি ধ্বংস হচ্ছে। মন্ত্রী হলে সংসদে কথা বন্ধ হয়ে যায়। মন্ত্রিত্ব লোভী বাম প্রধান নেতা এটা বোঝেন না। তিনি কি মন্ত্রী হয়ে আর কথা বলতে পারেন না? গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাজেট পর্যালোচনা ও প্রস্তাবনা : প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার বাজেট : বাস্তবায়নের পথনির্দেশক কতটুকু?’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। জাসদের একাংশ এ সেমিনার আয়োজন করে। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন অর্থনীতিবিদ এমএম আকাশ, জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, কার্যকরী সদস্য মো. খালেক প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন জাসদের একাংশের সভাপতি শরিফ নূরুল আম্বিয়া।
মঈনউদ্দীন খান বাদল বলেন, সংসদে এখন আর রাজনীতিবিদ নেই। ৪৬ বছর রাস্তায় হেঁটে রাজনীতি করছি। এখন সংসদে এসেছেন সোনার ছেলেরা, উচ্চবিত্তরা। তারা কেন বাংলাদেশের মানুষ খেল, না না খেল তা দেখবেন? অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিজ্ঞ মন্ত্রী আপনি গত আট বছরে আমাদের কি দিয়েছেন? গত আট বছরে নৌকার পালে হাওয়া লেগেছে। শরতের ভাষায় নৌকা তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে আমরা এটাও দেখতে পাচ্ছি নৌকার পালে ছিদ্র দেখা যাচ্ছে। গত আট বছরে বাংলাদেশের মোট সম্পত্তির ৪৭ ভাগ ১০ শতাংশ মানুষের হাতে গেছে। আর ৪০ শতাংশ নিম্নবিত্ত মানুষের কাছে ১৩ ভাগ সম্পত্তি। মুহিত সাহেব এই হচ্ছে আপনার উন্নয়নের চেহারা।
অর্থনীতিবিদ এমএম আকাশ বলেন, এ বাজেট বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জ। যে বাজেট দেওয়া হয়েছে পুরোটা ব্যয় করার ক্ষমতা আছে কি না? কতটুকু আয় হবে, কতটুকু ব্যয় হবে তা নির্ধারণ না করে মগডালের ওঠার মত বাজেট দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সমতাভিত্তিক সমাজ বাস্তবায়ন করতে হলে বৈষম্য কমাতে হবে। আর বৈষম্য কমাতে হলে দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের ধরতে হবে। তবে এ বাজেটে সরকারের এ ব্যাপারে কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সরকারের উপর ভরসা রাখা যাচ্ছে না। সরকার আমলাতন্ত্রের হাতে বন্দী। পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। বঙ্গবন্ধুর যে আওয়ামী লীগ তা এখন আর নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন