শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

চরম দারিদ্র্যতার মধ্যে ত্রাণ নিতে নারাজ উ. কোরিয়া

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ নভেম্বর, ২০১৯, ২:৩৩ পিএম

বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম উত্তর কোরিয়া। বিশ্ব থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন এই দেশ সম্পর্কে বেশিকিছু জানা যায় না। যতটুকু জানা যায় তার কতটুকু সত্য বা কতটুকু মিথ্যা তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তবে উপগ্রহ চিত্রে পাওয়া ছবি বিশ্লেষণ করে সুইজারল্যান্ডের একটি সংস্থা জানিয়েছে, ভয়াবহ খরার কবলে পড়েছে উত্তর কোরিয়া। সেখানে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
সুইজারল্যান্ডের জিওগøাম নামে ওই সংস্থা জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ‘শস্যভান্ডার’ নামে পরিচিত একটি স্থান খরার মুখে পড়েছে।
এর আগে জাতিসংঘ জানিয়েছিল, গত পাঁচ বছরে প্রতি ১০ জন উত্তর কোরিয়ার মধ্য থেকে চারজনের খাদ্য এবং শস্য উৎপাদন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তাদের ত্রাণ সরবরাহ করতে রাজি হলেও উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন তা নিতে রাজি হননি।
তবে উত্তর কোরিয়ার মিত্র দেশ চীনের দেয়া খাদ্য ও প্রয়োজনীয় ত্রাণ গ্রহণ করেছে কিম প্রশাসন। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার ৫০ হাজার টন চাল গ্রহণ করতে অস্বীকার করে উত্তর কোরিয়া। এর আগে ১৯৯০ সালে খরার প্রকোপে অসংখ্য লোকের মৃত্যু হয়েছিল উত্তর কোরিয়ায়।
জাতিসংঘ গত মে মাসে জানিয়েছিল, উত্তর কোরিয়ার প্রায় ৭০ শতাংশ বাসিন্দাদের রেশন ৫৫০গ্রাম থেকে কমিয়ে ৩০০ গ্রামে নামিয়ে আনা হয়েছে।
দেশটির মূল কৃষিস্থল হল দক্ষিণ প্রদেশের উত্তর-দক্ষিণ হংঘাই এবং দক্ষিণ পিয়ংইয়ং। কিন্তু, খরার প্রকোপে এবারে খুব কম পরিমাণ শস্য উৎপাদন হয়েছে। জিওগ্ল্যাম জানিয়েছে, বৃষ্টির ঘাটতি এবং গ্রীষ্মে সেচের জল ঠিকমত ব্যবহার না করার ফলেই এই দুরাবস্থা। এই খাদ্য সঙ্কট সহজে কাটবে না বলেও জানায় এই সংস্থা।
গত সেপ্টেম্বরেই টাইফুন লিংলিং আঘাত হানে উত্তর কোরিয়ায়। এতে ফসলি জমি পানির নিচে চলে যায়। আর এর ফলেই খরার প্রকোপ আরও বেড়েছে। তখনই জাতিসংঘ জানিয়েছিল, উত্তর কোরিয়ার প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের কৃষি এবং খাদ্যের সহযোগিতা প্রয়োজন। ওই মাসেই দেশজুড়ে সোয়াইন ফ্লুর প্রকোপ বেড়ে যায় দেশটিতে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
বাইজিদ ১১ নভেম্বর, ২০১৯, ৩:৩০ পিএম says : 0
একেই বলে আত্মসম্মান
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন