শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সংগ্রাম ও সাফল্যের ৬৭ বছর পূর্তি

প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সংগ্রাম ও সাফল্যের ৬৭ বছর প্রতিপাদ্য করে আগামী ২৩ জুন দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সূর্য উদয়ক্ষণে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। এছাড়া, সকাল সাড়ে ৮টায় বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করবে দলীয় নেতৃবৃন্দ। একই দিন সকাল পৌনে ৯টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, পায়রা উন্মুক্ত ও বেলুন ওড়ানো হবে। বেলা আড়াইটায় দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা করবে আওয়ামী লীগ। এতে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আলোচনায় জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও দেশের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ অংশ নেবেন।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় দলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জননেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শামসুল হকের নেতৃত্বে পূর্ব বাংলার জনগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। যদিও প্রতিষ্ঠাকালে সংগঠনের নাম ছিল আওয়ামী মুসলিম লীগ। পরবর্তীতে পরিবেশ বিবেচনায় ‘আওয়ামী লীগ’ নামে সংগঠনটি কার্যক্রম শুরু করে।
১৯৫২ সালের ‘মায়ের ভাষা বাংলা’ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন হয়েছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট পাকিস্তানের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করেছিল। ’৬২ সালে গণবিরোধী শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন, ’৬৬ সালের ৬-দফার আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ সকল আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
’৭০-এর নির্বাচনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করার পরও পাকিস্তানিরা ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি করলে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দেন। আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা এদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানিদের এদেশ থেকে তাড়িয়ে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে উপহার দেয়।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন স্বাধীনতা-উত্তর সাড়ে তিন বছর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব বাংলাদেশ যখন অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই কুচক্রী মহল, স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে। জেলখানায় জাতীয় চারনেতাকে হত্যার মাধ্যমে এই সংগঠনটিকে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা চালানো হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ মে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নবউদ্যমে সংগঠিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনা ১৯৯৬‘র সরকার গঠন করে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। ২০০৮ সালে পুনরায় সরকার গঠন করে ‘রূপকল্প ২০২১’-এর আলোকে মধ্যম আয়ের সুখী-সমৃদ্ধিশালী ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখান এবং ২০১৪ সালে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ‘রূপকল্প ২০৪১’-এর আলোকে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। আওয়ামী লীগ সরকারের অর্জনের ধারাবাহিকতায় বাংলার জনগণ বিশ্বাস করে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। সে জন্য ২৩ জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার দিবসটি বাঙালি জাতির জীবনে অত্যন্ত গৌরবোজ্জ্বল। সারা বাংলার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এদিকে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দলের প্রতিষ্ঠার গৌরবোজ্জ্বল ৬৭ বছর পূর্তিতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সকল জেলা, উপজেলাসহ সকল স্তরের নেতাকর্মী, সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন