পবিত্র হজ পালন শেষে দেশে ফেরার সময় স্বজনদের জন্য হাজিদের বিশেষ উপহার থাকে জমজমের পানি। আগ্রহ নিয়ে সবাই জমজম কূপের পানি পান করে থাকেন। জাপানি বিজ্ঞানী মাসারু ইমোতো এই পানির ওপর সম্প্রতি গবেষণা করেছেন। পৃথিবীর বিশুদ্ধ পানিসহ অনেক তথ্য উঠে এসেছে তার গবেষণায়।
জমজমের পানি কেন পৃথিবীর বিশুদ্ধতম মাসারু ইমোতো তার গবেষণার মাধ্যমে কিছু বৈজ্ঞানিক ধারণা বের করেছেন-
* এক ফোঁটা জমজমের পানিতে যে পরিমাণ আকরিক পদার্থ থাকে তা পৃথিবীর অন্য কোনো পানিতে থাকে না।
* জমজমের পানির গুণগত মান কখনো পরিবর্তন হয় না।
* জমজমের পানিতে এন্টিমনি, বেরিলিয়াম, ব্রোমাইন, কোবাল্ট, বিস্মুথ, আয়োডিন আর মলিবডেনামের মতো পদার্থগুলোর মাত্রা ছিল ০.০১ পিপিএম থেকেও কম। ক্রোমিয়াম, ম্যাংগানিজ আর টাইটানিয়াম এর মাত্রা ছিল একেবারেই নগণ্য।
* জাপানি বিজ্ঞানীর পরীক্ষা অনুযায়ী জমজমের পানির পিএইচ হচ্ছে ৭ দশমিক ৮। যেটি সামান্য ক্ষারজাতীয়। বিজ্ঞানী তার পরীক্ষায় আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম, সীসা এবং সেলেনিয়ামের মতো ক্ষতিকর পদার্থগুলো ঝুঁকিমুক্ত মাত্রায় পেয়েছেন। যে মাত্রাগুলোতে মানুষের কোনো ক্ষতি হয় না।
* সাধারণ কূপের পানিতে জলজ উদ্ভিদ জন্মালেও জমজম কূপে জন্মায় না।
* জমজমের পানিতে যেসব আকরিক পদার্থ পাওয়া গেছে তার মধ্যে ক্যালসিয়াম, ফ্লোরাইড, সোডিয়াম, ক্লোরাইড, সালফেট, নাইট্রেট, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম উল্লেখযোগ্য। ফ্লোরাইড ছাড়া বাকি মিনারেলগুলোর মাত্রা অন্যসব স্বাভাবিক খাবার পানিতে পাওয়ার মাত্রা থেকে বেশি ছিল।
* মাসারু তার পরীক্ষায় জমজমের পানির এমন এক ব্যতিক্রমধর্মী মৌলিক আকার পেয়েছেন যেটি খুবই চমকপ্রদ। পানির দুইটি স্ফটিক সৃষ্টি হয়- একটি আরেকটির উপরে কিন্তু সেগুলো একটি অনুপম আকার ধারন করে।
সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন