ডাক্তার শামারুখ মেহজাবিন সুমির রহস্যজনক মৃত্যু জট খোলেনি পাঁচ বছরেও। পরিবার পরিকল্পিত হত্যাকা- দাবি করে মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার। এ সময় তার পিতা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যশোর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি হারুন-অর-রশিদ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডিতে যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা খান টিপু সুলতানের বাসা থেকে তার পুত্রবধূ ডা. শামারুখের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পরের দিন ১৪ নবেম্বর ধানমন্ডি থানায় শামারুখের বাবা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় ডা. শামারুখের শ্বশুর সাবেক এমপি খান টিপু সুলতান, শ্বাশুড়ি জেসমিন আরা বেগম, স্বামী হুমায়ুন সুলতান সাদাব। মামলা নম্বর ১৩। বাদীর আপত্তিতে দাফনের ১৭ দিন পর ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর লাশ উত্তোলন করে দুই দফায় ময়নাতদন্ত করা হয়। তারপরও সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি দাবি মামলার বাদীর।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, শুরু থেকে মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য খান টিপু সুলতান তৎপর ছিলেন। তারা তদন্ত কর্মকর্তা ও চিকিৎসকদের প্রভাবিত করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের চেয়ে সাক্ষীদের বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। আমার মেয়ের মোবাইল নম্বর ও আসামিদের মোবাইল নম্বর লিখিতভাবে থানায় জমা দিয়েছি, কললিস্ট চেক করার জন্য। কারণ ঘটনার আগে ও পরের কললিস্ট চেক করলেই পরিষ্কার হয়ে যেত হত্যাকা-ের রহস্য। আসামির বাড়ির গাড়ির ড্রাইভার ও কাজের বুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দাবি করেছিলাম সেটিও করা হয়নি। এমন অনেক প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
তাই মামলাটি পুনঃতদন্তের মাধ্যমে বিচার কাজ করার দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ডা. শামারুখ হত্যার বিচার দাবিতে বুধবার সকালে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে যশোরবাসী। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত নাগরিক সমাজ যশোরের সভাপতি শহিদুল হক বাদলসহ তার আত্বীয়-স্বজনরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন