লাশ হয়েই ফিরলেন মজিবুর রহমান ও স্ত্রী কুলসুম বেগম। তাদের বাড়ি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ১নং রাজারগাঁও ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড রাজারগাঁওয়ে। মজিবুর রহমান স্ত্রী ও তিন ছেলেকে নিয়ে বসবাস করতেন শ্রীমঙ্গল। সেখানে কসমেটিক পণ্যের ব্যবসা করতেন তিনি।
মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী কুলসুম বেগম হাজীগঞ্জ উপজেলার গ্রামের বাড়িতে ফেরার কথা ছিল। এ জন্য গত সোমবার রাতে ট্রেনে করে চাঁদপুর আসছিলেন। কিন্তু পথে ঘটে যায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। ঘটনাস্থলেই মারা যান তারা। জীবিত নয়, লাশ হয়ে ফিরছেন এ দম্পতি।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হাজীগঞ্জ উপজেলায় মজিবুরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় লাশের জন্য অপেক্ষা করছেন সবাই। পুরো গ্রামে চলছে শোকের মাতম।
নিহত মজিবুর রহমান ও কুলসুমা বেগমের লাশ বাড়িতে আনার জন্য চাঁদপুর থেকে স্বজনরা মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রওয়ান হয়েছেন। এদিকে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশু নাইমার পরিচয় নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচিত হয়। এতে শিশু নাইমার চাচা ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করে রওয়ানা হন। তাদের বাড়ি চাঁদপুরে। শিশুটির চাচা মানিক জানান, সিলেটে মাজার জিয়ারত শেষে মা কাকলী ও দাদা-দাদী, নানা-নানীর সঙ্গে নাইমা চাঁদপুর ফিরছিলো। ওর মা কাকলী ও নানীর খোঁজ এখনও পাইনি। নাইমার দাদীর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। তিনি কুমিল্লা হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন