শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন তহবিল সংগ্রহে হিমশিম খাচ্ছেন ট্রাম্প

প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : চলতি বছরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী মার্কিন ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্প তহবিল সংগ্রহে হিমশিম খাচ্ছেন। এমন অবস্থা চলতে থাকলে ডেমোক্রেটিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে লড়তে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণা হুমকির মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, গত মে মাসে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় তহবিল জমেছিল ৩১ লাখ মার্কিন ডলার। কিন্তু মাস শেষে তহবিলে আছে মাত্র ১৩ লাখ মার্কিন ডলার।
গত ৩ মে রিপাবলিকান দল থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত হয়। এর পরও তহবিল সংগ্রহে এমন দুরবস্থা দেখা দেবে, তা ছিল কল্পনাতীত। ট্রাম্পের চাকরিচ্যুত ক্যাম্পেইন ম্যানেজার কোরি লেওয়ানডোস্কি অবশ্য সব সময়ই বলেছেন, তহবিলে অর্থ আসছে। হয়তো তিনি ট্রাম্পের জুনের তহবিল নিয়ে বলেছেন। অবশ্য মে মাসের দুরবস্থার পর জুনে হঠাৎ করেই ধারার পরিবর্তন হবে, এমন আশা করা যায় না। সম্ভাব্য রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে মে মাসের ২৭ দিন প্রচারণা চালিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময়ে মাত্র এক লাখ ১৪ হাজার মার্কিন ডলার তহবিল জমেছে তাঁর। রিপাবলিকান জাতীয় কমিটির তহবিল সংগ্রহের অবস্থাও সুবিধাজনক নয়। মে মাসে দলের তহবিলে জমেছে মাত্র এক কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ৩০ লাখ আবার ট্রাম্প ও পার্টির যৌথ প্রচারণায়। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, যথেষ্ট পরিমাণ তহবিল সংগ্রহে ট্রাম্প ব্যর্থ হলে রিপাবলিকান দলের নির্বাচনী প্রচারণাই হুমকির মুখে পড়বে। তাই তহবিল সংগ্রহে সন্তোষজনক অগ্রগতি করতে হবে ট্রাম্পকে। কাজটি করতে হবে বেশ দ্রুত। নয়তো ট্রাম্পের রিপাবলিকান দলের মনোনয়নই আরেকবার প্রশ্নবিদ্ধ হবে। অন্যদিকে মে মাস ভালোই কেটেছে ডেমোক্রেটিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক ফার্স্ট লেডি ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের। ওই সময়ে অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী বার্নি স্যান্ডার্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতা সত্ত্বেও বড় অঙ্কের তহবিল পেয়েছেন তিনি। মাসের শুরুতে তাঁর তহবিলে ছিল দুই কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। মাস শেষে সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে চার কোটি ২০ লাখ। বিশ্লেষকদের মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারির ক্লিনটনের তহবিল সংগ্রহের মধ্যে বড় ধরনের ঘাটতিই নির্বাচনে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। কারণ, নির্বাচনী প্রচারে বিশালকর্মী বাহিনী চালাতে এবং টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারে বড় অঙ্কের খরচ হয়। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট। 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন